জলের পাত্র নিয়ে মৌতোড়ে রাস্তা অবরোধে বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ১২ দিন ধরে জল বন্ধ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার থেকে ব্লকের একাংশে জল সরবরাহ শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি মঙ্গলদা-মৌতোড় পঞ্চায়েত এলাকায়। তাই জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি রঘুনাথপুর ২ ব্লক এলাকার। বুধবার সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা মৌতোড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে রঘুনাথপুর-চেলিমায়া রাস্তা অবরোধ করেছিলেন মৌতোড়, মণ্ডপডাঙা, ধানাড়া, বান্দা-সহ ৮-১০টি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ব্লকের যুগ্ম বিডিও শমীক ভড়। তাঁকে ঘিরেও কিছু সময় বিক্ষোভ চলে। পরে দ্রুত জল সরবরাহ শুরুর আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।
রঘুনাথপুর ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। নিতুড়িয়ার লক্ষণপুরের ইন্দো-জার্মান প্রকল্প থেকে জল সরবরাহ করা হয়। ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের পাইপ লাইন ও যন্ত্রাংশে কিছু সমস্যা হওয়াতে টানা ১১দিন ব্লকে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। ত্রুটি সারিয়ে মঙ্গলবার বিকেল থেকে ব্লকের একাংশে জল সরবারাহ শুরু হলেও সমস্যা থেকেই গিয়েছিল।” এ দিন অবরোধে সামিল হওয়া মৌতোড়ের সন্তোষ ভট্টাচার্য, ধানাড়ার নিমাই বাউরি, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা মণ্ডপডাঙার বাসিন্দা পরান বাউরি বলেন, “ইন্দো-জার্মান প্রকল্পের জলই একমাত্র ভরসা এই এলাকায়। অথচ টানা ১২দিন ধরে জল বন্ধ থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। মঙ্গলবার থেকে ব্লকের একাংশে জল সরবরাহ শুরু হলেও মঙ্গলদা-মৌতোড় এলাকায় জল এখনো বন্ধ রয়েছে।”
এ দিন জলের পাত্র হাতে রাস্তা অবরোধে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যুগ্ম বিডিও শমীকবাবু ঘটনাস্থলে গেলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান বাসিন্দারা। যুগ্ম বিডিও অবরোধস্থল থেকেই যোগাযোগ করেন জনস্বাস্থ্য কারিগারি দফতরের কর্মীদের সঙ্গে। তাঁদের নিয়ে জল সরবরাহ করার জন্য রুকনি গ্রামের কাছে রিজার্ভার (ওভার হেড ট্যাঙ্ক) পরিদর্শনে যান তিনি। বিডিও(রঘুনাথপুর ২) উত্পল ঘোষ বলেন, “পাইপ লাইনে সমস্যা থাকায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ব্লকে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। বিকেলের দিকে ব্লকের একাংশে জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলদা-মৌতোড় পঞ্চায়েত এলাকায় রুকনি গ্রামের কাছে যে রিজার্ভার থেকে জল দেওয়া হয় সেখানে ভাল্বে কিছু ত্রুটি থাকায় জল সরবরাহ করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত জল সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে।”