বাঁকুড়ায় আগুন সিপিএম অফিসে

এখনও ভোটের বাজার সে ভাবে গরম হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে সিপিএমের পার্টি অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া গোবিন্দনগর এলাকায় সিপিএমের বাঁকুড়া পশ্চিম ২ লোকাল কমিটির অফিসের ওই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০১:৫৪
Share:

দুমড়ে রয়েছে সাইনবোর্ড। —নিজস্ব চিত্র।

এখনও ভোটের বাজার সে ভাবে গরম হয়ে ওঠেনি। এরই মধ্যে সিপিএমের পার্টি অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া গোবিন্দনগর এলাকায় সিপিএমের বাঁকুড়া পশ্চিম ২ লোকাল কমিটির অফিসের ওই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।

Advertisement

এ দিন ওই পার্টি অফিসে গিয়ে দেখা গেল, কাঠের মূল দরজা আগুনের ধোঁয়ায় কালো হয়ে গিয়েছে। বারান্দায় তিনটি টায়ার আগুনে পোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাদের দিক থেকে ঝোলানো পার্টি অফিসের সাইনবোর্ড দুমড়ে মুচড়ে দেওয়া হয়েছে, দলীয় পতাকা উধাও। ফোনে ঘটনার খবর পেয়েই দফতরে ছুটে আসেন ওই লোকাল কমিটির সম্পাদক কুণাল রায়। একে একে আসেন লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী বাসুদেব আচারিয়া, বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুস্মিতা বাউরি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ দে-সহ অনেকেই। ঘটনার প্রতিবাদে গোবিন্দনগরে সাময়িক পথ অবরোধ করেন সিপিএম কর্মীরা। ওই অগ্নিকাণ্ডের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করে বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কুণালবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

কুণালবাবুর অভিযোগ, “রাজ্যে পরিবর্তনের পর একাধিক বার আমাদের এই পার্টি অফিস তৃণমূলের আক্রমণের শিকার হয়েছে। এই দফতর পোড়ানোর চেষ্টা করেছে ওরাই।” বাসুদেববাবর দাবি, “আমরা ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। কিন্তু, কোনও দিন বিরোধীদের পার্টি অফিসে হামলা চালাইনি। আর ওরা ভোটের আগে আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে, ভয় পাওয়াতে এই ধরনের কাজ করছে।” তিনি আরও বলেন, “পুরো ঘটনাটি ছবি-সহ লিখিত ভাবে নির্বাচন কমিশনে পাঠাব। ভোট এখনও অনেক দূরে। এখনই যদি এই ঘটনা হয়, তাহলে পরে কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।”

Advertisement

সিপিএমের যাবতীয় অভিযোগকে সাজানো ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খাঁ। বাসুদেববাবুর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “সিপিএমের সন্ত্রাসের ভয়ে বাম আমলে আমরা লোকের ঘরে লুকিয়ে থাকতাম। দিনের আলোয় হাটে-বাজারে আমাদের কর্মীরা মার খেতেন। আর বাসুদেববাবু বলছেন, কোনও দিন তাঁরা আমাদের আক্রমণ করেননি? এটা হাস্যকর।” অরূপবাবুর দাবি, “ভোটের আগে ওরা আর কিছু খুঁজে না পেয়ে নিজেরাই নিজেদের পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে আমাদের দোষ দিচ্ছেন। আমরা এই ধরনের রাজনীতি করি না।”

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ভোটের মুখে রাজনৈতিক সন্ত্রাস রুখতে প্রতিটি থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যেতে বলা হয়েছে। পার্টি অফিসগুলিতেও বিশেষ ভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement