রঘুনাথপুর ১ ব্লকে ধরে রাখা ‘সবেধন নীলমণি’ গ্রাম পঞ্চায়েতটিও হারাল সিপিএম। ওই খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ সিপিএমের তিন সদস্য রবিবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার তৃণমূলে এলেন খাজুরার আর এক সিপিএম সদস্য কালিদাসী বাউরি। ফলে ১২ আসনের খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন বেড়ে হল সাতটি। সেই সঙ্গে ওই পঞ্চায়েতটি লাভ করতে চলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সভাপতি প্রদীপ মাজি বলেন, “বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা করে কখন ওই পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে নতুন প্রধান নির্বাচন করা সম্ভব তা বিবেচনা করা হচ্ছে।”
রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরা গ্রাম পঞ্চায়েত গতবার তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকলেও ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতের দখল নেয় সিপিএম। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই সিপিএমের প্রতীকে জেতা নয় সদস্যের মধ্যে চারজন দল বদলে ফেলায় ফের ওই পঞ্চায়েতটি ফিরে পাচ্ছে তৃণমূল। মঙ্গলবার রঘুনাথপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কালিদাসী বাউরি দলবদল করার পরে বলেন, “তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি ও অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে যে ভাবে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে, তা দেখে আমাদের এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, “রাজ্য জুড়েই আমাদের জনপ্রতিনিধিদের ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের দলে টানার ঘৃণ্য খেলায় নেমেছে তৃণমূল। এখানেও একই ঘটনা ঘটছে।” তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই সিপিএম ছেড়ে দলে-দলে লোকজন আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। দলে ভাঙন রুখতে না পেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন সিপিএম নেতারা।”