প্রথা মেনেই ৫১ কুমারীর পুজো

একসময় পারিবারিক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যে কুমারী পুজোর শুরু, এখন সেই পুজোতেই মাতে ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালিতলা। ‘পঞ্চবটী’-র নিচে ৫১ কুমারীর পুজোর প্রচলন করেছিলেন কাপাসটিকুরী চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এবার ১১৯ বছরে পড়ল শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০৯
Share:

৫১ কুমারীর পুজো দেখতে বোলপুরের কঙ্কালিতলায় ভিড়। সোমবারের নিজস্ব চিত্র।

একসময় পারিবারিক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য যে কুমারী পুজোর শুরু, এখন সেই পুজোতেই মাতে ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালিতলা। ‘পঞ্চবটী’-র নিচে ৫১ কুমারীর পুজোর প্রচলন করেছিলেন কাপাসটিকুরী চট্টোপাধ্যায় পরিবার। এবার ১১৯ বছরে পড়ল শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো। প্রতিবারের মতো এবারও আশ্বিন ত্রয়োদশী তিথিতে প্রাচীন প্রথা ও রীতি মেনেই সতীপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর নামে হয়ে গেল ৫১ কুমারীর পুজো। মাতলেন এলাকার মানুষ।

Advertisement

কথিত আছে, চট্টোপাধ্যায় পরিবারে অশান্তি ও বিবাদ ছিল চরমে। তার নিদান হিসেবে কমলাদেবী ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালিতলায় পঞ্চবট স্থাপন করেন। তার নিচে ৫১ কুমারীর পুজো শুরু করেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের উন্নতি, সুখ, সমৃদ্ধিও ফিরে ছিল এতে। পাশাপাশি চট্টোপাধ্যায় পরিবারে, পারিবারিক সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বেড়েছিল। ওই দিন থেকে কুমারীপুজো করে আসছে চট্টোপাধ্যায় পরিবার। প্রায় দু’দশক ধরে ভীষ্মদেববাবু এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। জমিদারী না থাকলেও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পূর্বসূরিদের প্রথানুযায়ী এখনও খরচের প্রায় সিংহ ভাগ তাঁদেরই বহন করেতে হয়। বাকি অর্থ নানা ভাবে সংগৃহীত হয়।

ফি বছরের মতো, এবারও দিন কয়েক আগেই ৫১ কুমারীর বাড়িতে সন্দেশ গিয়েছিল চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে। কুমারীদের অভিভাবকেরা যোগাযোগ করেছিলেন কাপাসটীকুরী চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে। সেই মত তাঁদের কন্যা শিশুদের নিয়ে, সোমবার ভোরেই হাজির হন সতীপীঠ কঙ্কালিতলায়। পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাবা, ঠাকুরদার সময় থেকে পুরুষানুক্রমিক এই পুজো চলে আসছে। আমাদের বংশের পূর্বসূরি কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement