নেই মজুরি, পঞ্চায়েতে ক্ষোভ

একশো দিনের কাজের মজুরি দিতে দেরি হওয়া ও ইন্দিরা আবাস যোজনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাল সারা ভারত কৃষক সভা। মঙ্গলবার এই অভিযোগে হুড়ার দলদলি পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একশো দিনের কাজ করার পরেও মজুরি দিতে পঞ্চায়েত গড়িমসি করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া ও বোরো শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৬
Share:

হুড়ার দলদলি পঞ্চায়েতে চলছে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র

একশো দিনের কাজের মজুরি দিতে দেরি হওয়া ও ইন্দিরা আবাস যোজনায় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাল সারা ভারত কৃষক সভা। মঙ্গলবার এই অভিযোগে হুড়ার দলদলি পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একশো দিনের কাজ করার পরেও মজুরি দিতে পঞ্চায়েত গড়িমসি করছে। এর ফলে প্রয়োজনের সময় ওই টাকা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছেন। অন্য দিকে, ইন্দিরা আবাস যোজনায় পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এলাকার বহু ন্যায্য দুঃস্থ বাসিন্দাকে এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দলদলি পঞ্চায়েতের প্রধান প্রভাসচন্দ্র বাউরি বলেন, “আমরা তদন্ত করে দেখে যার প্রয়োজন বেশি তাকে ওই প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছি। তবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঠিক নয়।”

Advertisement

এ দিকে, কাজ করেও মজুরি না মেলায় বোরো থানার বারি পঞ্চায়েতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখালেন। সোমবার বিকেলের ঘটনা। যমুনাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা তিলকা মুর্মু, প্রদীপ মুর্মু, খগেন টুডু বলেন, “পাঁচ মাস আগে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছিলাম। কিন্তু বকেয়া মজুরি পাইনি। তা কবে পাব জানতে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলাম।” তাঁদের ক্ষোভ, আগেও পঞ্চায়েত থেকে টাকা দ্রুত দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু মেলেনি। তাঁরা কালীপুজোর আগে বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার দাবি দানান। বারি-জাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুমিত্রা মাহাতোর দাবি, “আমরা টাকা ছেড়ে দিয়েছি। দু’-একদিনের মধ্যে ওঁরা প্রাপ্য টাকা পেয়ে যাবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement