বাসের চাকা ফেটে উল্টে গেল বরযাত্রীর বাস। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার মফস্সল থানার রুদড়া গ্রামের কাছে, জামশেদপুর-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। আহত হলেন ১৪ জন। এ দিনই বিকেলে মানবাজারের পাথরমহড়া গ্রামের কাছে অন্য একটি দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম শ্যামাপদ হালদার (৬২)। তাঁর বাড়ি জামশেদপুরের ভুইয়াডি এলাকায়। তিনি একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার বাঘুডি গ্রাম থেকে একটি বাসে করে চিড়কা শিবমন্দিরে যাচ্ছিলেন বরযাত্রীরা। রুদড়া গ্রামের কাছে হঠাৎ বাসের বাঁদিকের একটি চাকা ফেটে যায়। বাসটি সেই সময় কম গতিতে ছিল। কিন্তু চাকা ফেটে যাওয়ার পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা বিমলকান্ত মাহাতো বলেন, “আমরা ওই সময় রাস্তা ধরে পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। দেখলাম বাসটি উল্টে পড়ে রয়েছে। যাত্রীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। সবাই সাহায্যে হাত লাগাই।” পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে স্থানীয় লোকজনই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধারে নামে। তাঁদের মধ্যে আহত ১৪ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দ্বিতীয় ঘটনায় শ্যামাপদবাবু এক সঙ্গীর মোটরবাইকে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। মানবাজারের পাথরমহড়ায় রাস্তায় বাঁকের মুখে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় তাঁদের মোটরবাইকের সঙ্গে একটি ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে শ্যামাপদবাবুর মৃত্যু হয়। এ দিকে, বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাসের ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া শহরে। একটি গাছের ডালে ধাক্কা লেগে ওই ব্যক্তি বাস থেকে রাস্তায় পড়ে যান। তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।