এক টিএমসিপি নেতার দাদাকে রাস্তা থেকে তৃণমূলের অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের ওই অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল প্রহৃত যুবকের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাসস্ট্যান্ড এলাকা এই ঘটনায় তেতে উঠল। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে কমব্যাট ফোর্স। তাতেও থানার সামনে এই গোলমালে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ঠেকানো গেল না।
পাত্রসায়রের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী জিয়ারুল ইসলাম পাত্রসায়র কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তাঁর দাদা শেখ মণিরুল ইসলাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। পেশায় ব্যবসায়ী মণিরুলের পাত্রসায়র স্টেশনের কাছে একটি ফ্লাই অ্যাশ ইটের কারখানা রয়েছে। মণিরুলের অভিযোগ, “আমি থানার পাশে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিলাম। বিনাকারণে স্থানীয় টিএমসিপি নেতা গোপে দত্ত আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। তাঁর সঙ্গীরা আমার মোটরবাইক ভাঙচুর করে আমাকে মারতে মারতে ওদের অফিসে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে।” ঘটনাটি জানার পরেই মণিরুলের পড়শিরা তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জিয়ারুলের দাবি, “দাদা রাজনীতি করে না। কিন্তু আমরা স্নেহেশদার ঘনিষ্ঠ বলে সেই আক্রোশে দাদাকে গোপে ও তাঁর সঙ্গীরা মারধর করল।” পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গোপে অবশ্য ফোন ধরেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি জিয়ারুলের অনুগামীরা দলের অফিসে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে।
স্নেহেশ বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা নব পালের দাবি, “গণ্ডগোলের সময় আমি বাঁকুড়ায় ছিলাম। তবে শুনেছি ওরাই আমাদের দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। গোপেকে ওরাই মারধর করেছে। আমাদের কেউ মারধর করেনি।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) পরাগ ঘোষ বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সব অভিযোগই খতিয়ে দেখা হবে।”