কোতুলপুর-ইন্দাস

চাল, আলু নিয়ে দুর্গতদের কাছে গেলেন অভিষেক

কথা ছিল বিকেল ৩টায় কোতুলপুর ব্লকের বন্যাদুর্গত ব্রহ্মডাঙা গ্রাম থেকে ত্রাণ বিলি শুরু করবেন তৃণমূলের যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার ৪৫ মিনিট আগেই সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনকে সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুরে পৌঁছে যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইন্দাস শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫৬
Share:

কথা ছিল বিকেল ৩টায় কোতুলপুর ব্লকের বন্যাদুর্গত ব্রহ্মডাঙা গ্রাম থেকে ত্রাণ বিলি শুরু করবেন তৃণমূলের যুব সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার ৪৫ মিনিট আগেই সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনকে সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুরে পৌঁছে যান তিনি। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও কোতুলপুরের বিধায়ক শ্যামল সাঁতরাকে সঙ্গী করে পৌঁছে যান প্লাবিত এলাকা ব্রহ্মডাঙায়। জল নেমে যাওয়ায় ত্রাণ শিবির থেকে ফিরে এসেছেন মানুষজন। তাঁদের কাছে খোঁজ খবর নিতে নিতে দলের তরফে চাল ও আলুর প্যাকেট বিতরণ শুরু করলেন অভিষেক। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে তিনি রওনা দেন ইন্দাসের দ্বারকেশ্বর নদের তীরে সামরোঘাট সেতুর কাছে ফতেপুর গ্রামে।

Advertisement

সেখানেও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাদের হুড়োহুড়ির মধ্যে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিলি করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এলাকা ছাড়েন তিনি। যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, “সরকারি স্তরে ত্রাণ বিলির কাজ শুরু হয়েছে আগেই। এ দিন এই জেলায় এসে দলীয় কর্মীদের নিয়ে এ বার ত্রাণবিলির কাজ শুরু করা হল।”

ফতেপুর গ্রামের দীপঙ্কর মাঝি বলেন, “দ্বারকেশ্বরের জল ঢুকেছে বাড়িতে। এ দিন দু’কেজি চাল ও দু’কেজি আলুর প্যাকেট পেলাম। কাজে লাগবে।” বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানান, ব্রহ্মডাঙায় ৩৬০ ও সামরোঘাট ফতেপুর বন্যাদুর্গত এলাকায় ৩৬০ প্যাকেট করে চাল ও আলুর প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকায় দলের তরফে মোট ৮০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সেই কর্মসূচির সূচনা করলেন। একই সঙ্গে সামরোঘাট এলাকার একটি সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথাও তাঁকে জানানো হল। অভিষেকের কাছে মুখ দেখানোর হুড়োহুড়ি দেখে এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মীর প্রশ্ন— “বন্যার সময় এলাকার সাংসদ বা বিধায়ক ছাড়া জেলার কোনও শীর্ষ নেতাকে এখানে দেখা যায়নি। অথচ এ দিন অভিষেকবাবু আসছেন জেনে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেল দলের সেই সব শীর্ষ নেতা থেকে পড়শি কেন্দ্রের বিধায়ককেও। কী হচ্ছে এ সব?”

Advertisement

কোতুলপুরের ভারপ্রাপ্ত বিডিও প্রবীরকুমার শীল বলেন, “আমাদের ব্লক এলাকার সব জায়গা থেকেই জল নামতে শুরু করেছে। ফলে ত্রাণ শিবির ছেড়ে চলে যাওয়ায় ২১টি শিবিরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি ত্রাণ সরবরাহ চলছে। প্লাবিত এলাকার কুয়ো, পুকুর ও টিউবওয়েল সংলগ্ন স্থানে জল পরিশ্রুত রাখতে চুন ও ব্লিচিং ছড়ানো হচ্ছে।”

বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক পলাশ সেনগুপ্ত জানান, মহকুমার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দামোদর সংলগ্ন সোনামুখী, ইন্দাস বা পাত্রসায়রেও জল ঢোকার কোনও খবর নেই। বন্যার পরে যাতে জলবাহিত রোগ না ছড়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মীরা তাই সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। হ্যালোজেন ও ওয়ারেস সরবরাহ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement