গ্যাস-সঙ্কট, আটক ভ্যান

‘বুক’ করেও সময়ে মিলছে না গ্যাস। অথচ খোলা বাজারে বেশি দামে দেদার পাওয়া যাচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস। বাইরেও পাচার হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার রাইপুরে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি গাড়ি আটকে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে অবশ্য উপযুক্ত কাগজপত্র দেখে গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাইপুর শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৩৮
Share:

রাইপুরে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

‘বুক’ করেও সময়ে মিলছে না গ্যাস। অথচ খোলা বাজারে বেশি দামে দেদার পাওয়া যাচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস। বাইরেও পাচার হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।

Advertisement

এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার রাইপুরে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি গাড়ি আটকে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে অবশ্য উপযুক্ত কাগজপত্র দেখে গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। রাইপুরের গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, চাহিদার তুলনায় কম গ্যাস আসায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। গ্যাস নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রাইপুর ব্লকে ওই সংস্থার ডিস্ট্রিবিউটরের অধীনে গ্রাহক রয়েছে ৩,৭০০। গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, প্রায় একমাস আগে গ্যাস ‘বুক’ করা হলেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস পেতে দেরি হচ্ছে। অথচ রাইপুরের বাইরে গ্যাস ভর্তি গাড়ি হামেশাই পাঠানো হচ্ছে। আদতে গ্যাস পাচার করা হচ্ছে। ডিস্ট্রিবিউটরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও লাভ হয়নি। এরই প্রতিবাদে এ দিন সকালে রাইপুর-খাতড়া রোডের পাশে অবস্থিত ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের গুদাম থেকে বেরনোর পথে চারটি গ্যাসের ভ্যানগাড়ি আটকে দেন বাসিন্দারা। ঘণ্টা দুয়েক ধরে গাড়িগুলি আটকে রাখা হয়। পরে গ্যাস বিলির কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখে তাঁরা গাড়িগুলি ছেড়ে দেন।

Advertisement

গ্যাসের গ্রাহক দীপক পাল, রাকেশ পাল, শিশির দে-র দাবি, “চলতি অক্টোবর মাসের প্রথমেই আমরা গ্যাস বুক করেছি। কিন্তু এখনও পাইনি। অথচ ফুলকুসমা, মটগোদা, বক্সি এলাকায় প্রায় দিনই ছোট গাড়িতে গ্যাস পাঠিয়ে বিনা রসিদে গ্যাস বিক্রি চলছে।” রাইপুরের ওই গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের দাবি, “আমার ৩৭০০ জন গ্রাহক অথচ বর্তমানে মাসে মাত্র ১৫৩৬টি গ্যাস সিলিন্ডার পাচ্ছি। ফলে সময়মতো গ্রাহকদের গ্যাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। নিয়ম মেনে বুকিং অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে গ্রাহকদের গ্যাস দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “দূরের গ্রাহকেরা একসঙ্গে গাড়ি ভাড়া করে গ্যাস নিয়ে যান রাইপুর থেকে। কোথাও পাচার করা হয়নি। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ না বুঝে গাড়িগুলি আটকে রেখেছিলেন।” রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “গ্যাস পেতে এলাকায় গ্রাহকদের সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement