ওভারলোডিং-এর কারণে দ্রুত রাস্তা খারাপ তো হচ্ছিলই। তার উপর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দ্রুত মালভর্তি গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রাজস্বও ফাঁকি পড়ে। তাই ওভারলোডিং রুখতে কিছু ব্যবস্থা নিতে চলেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দু’টি ‘ওয়েট ব্রিজ’ বসানো হবে। থাকবে চেকিং পয়েন্টও। জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেগুলি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে ওভারলোডিং বন্ধ করার জন্য এই সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা খবর, সম্প্রতি রাজ্য সরকার এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ওভারলোডিং রুখতে রাস্তায় ট্রাক আটকে অতিরিক্ত মাল নামিয়ে ফেলা হবে। ট্রাকমালিককে ডেকে সেই মাল অন্য কোনও গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা ও জরিমানাও করা হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলায় চেকপোস্ট তৈরি করা হবে। সরকার টাস্ক ফোর্সও গড়েছে।
জেলাশাসক জানান, জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার জন্য ওভারলোডিং অনেকাংশে দায়ী। এ সব রুখতে সরকারি নির্দেশ মতো জেলায় সিউড়ি এবং ইলামবাজারে চেকপোস্ট বসানোর জন্য পরিবহণ দফতরের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আশা করি জানুয়ারী মাসের মধ্যে নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারা যাবে।” তিনি জানান, বীরভূমে বেশির ভাগ কলকাতামুখী ট্রাক সিউড়ি ও ইলামবাজারের উপর দিয়ে যায়। নলহাটি বা মুরারই এলাকার ট্রাক কলকাতা বা অন্যত্র যাওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদে চেকপোস্ট আছে। রামপুরহাট বা মহম্মদবাজার, সাঁইথিয়া থেকে ট্রাক কলকাতা বা অন্যত্র যেতে সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমায় চেকপোস্ট হবে।
জেলা পরিবহণ আধিকারিক রাজীব মণ্ডল বলেন, “একটি ট্রাকে কী পরিমাণ পণ্য বহন করতে পারে, সেটা ওই গাড়ির লগবুকে লেখা থাকে। তার বেশি যদি পণ্য বহন করে তা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হোক বা পাথর, বালি,ইট, সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক হোক সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জাতীয় সড়কের উপর চেকপোস্ট বসানোর ব্যাপারে লিখিত ভাবে তাঁর দফতরে কোনও কাগজ এসে পোঁছইনি বলে জানান রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের নির্বাহী বাস্তুকার নিরজ সিংহ। তিনি বলেন, “ওভারলোডিং রুখতে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। মৌখিক ভাবে শুধু এটুকু জানি। ওভারলোডিং গাড়ি যাতায়াতের কারণে জাতীয় সড়ক খুব তাড়াড়াড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে।” সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “দু’টি জায়গায় আপাতত চেকিং পয়েন্ট করার জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। পরে আরও কিছু জায়গায় চেকিং পয়েন্ট করা হতে পারে।”