— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাবা-ছেলের ঝগড়া চলছিল। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগের প্রতিবাদ করেছিলেন প্রতিবেশী মহিলা। ওই ঘটনার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন প্রবীণ। অভিযোগ, রাগের বশে প্রতিবেশী মহিলাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরেছেন বৃদ্ধের তিন ছেলে। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর স্বামী এবং মা। তাঁদের হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়ুয়া গোপালপুর গ্রামে আজহার শেখের সঙ্গে তাঁর ছেলের ঝগড়া হচ্ছিল। ঝগড়া চলার সময় তাঁরা অশ্লীল গালিগালাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী আরজিনা বিবি গালিগালাজের প্রতিবাদ করেন। এর পরই আজহার শেখ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গ্রামের পাশে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। অভিযোগ, এই আক্রোশে আজহারের শেখের ছেলে মালেক শেখ, এমদাদুল শেখ ও সিরাজুল শেখ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আরজিনা বিবির উপর হামলা চালান। তাঁর পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়।
হামলাকারীদের হাত থেকে তাঁকে বাঁচাতে যান তাঁর মেয়ে, তাঁর স্বামী দুলাল শেখ এবং তাঁর মা মহিমা বিবি। অভিযোগ, দুলাল শেখের পেটেও ধারালো অস্ত্রের কোপ মারেন হামলকারীরা। অস্ত্রের কোপ মারা হয় মহিমা বিবি বাম হাতেও। তাঁর বাম হাতের অনেকটা অংশ কেটে যায়। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়েরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এর পর স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।