ভোট শেষ হওয়ার পরে বুথে জলবাহকের কাজ করা এক প্রৌঢ়কে গ্রামের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বারিকুল থানার বড়কলা গ্রামের ঘটনা। প্রহৃতের নাম প্রবোধ বেরা। তাঁর বাড়ি মেলেড়া পঞ্চায়েতের বড়কলা গ্রামে। রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ওই ভোটকর্মীকে তাঁদের দলের সমর্থক বলে দাবি করেছেন রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ হাঁসদা। ঘটনার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জড়িত বলে সিপিএমের অভিযোগ। যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সিপিএম নেতা দিলীপবাবুর অভিযোগ, “প্রবোধ বেরা আমাদের দলের কট্টর সমর্থক। এ বার বড়কলা বুথে জলবাহকের কাজ পেয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিকেলে গ্রাম থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় তৃণমূল নেতা রাজু সিংহের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর কয়েকজন। সাতখুলিয়া গ্রামের কাছে একটি ইটভাটার সামনে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ওরা।” তিনি জানান, পুলিশ ও বিডিও-র কাছে প্রবোধবাবু অভিযোগ করছেন।
রাইপুর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তথা মেলেড়া পঞ্চায়েত প্রধান রাজকুমার ওরফে রাজু সিংহ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “ঘটনার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই। প্রবোধ বেরার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গোজদা গ্রামে। প্রায় বছর দুয়েক আগে ওঁর মেয়ের শাশুড়ির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন প্রবোধ। সম্প্রতি গ্রামে এসেছেন খবর পেয়ে পাশের গ্রামের কয়েকজন সোমবার ভোট শেষ হওয়ার পরে তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে সামান্য চড় থাপ্পড় মেরেছে বলে শুনেছি। সিপিএম অহেতুক এটা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।” রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”