বকেয়া বেতনের দাবিতে সিউড়ি সদর হাসপাতালের সামনে প্রতীকী কর্মবিরতি। নিজস্ব চিত্র।
নভেম্বর শেষ হতে চলল। কিন্তু এখনও বেতন হয়নি সিউড়ি সদর হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্ল, হাউস কিপার এবং নিরাপত্তাকর্মীদের। বকেয়া বেতন মেটানোর দাবিতে তাই বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। যতক্ষণ কাজ বন্ধ ছিল, ততক্ষণ রোগীর আত্মীয়দের নিয়ন্ত্রণ করা, রোগীদের এক্স-রে বা ইউএসজি করানো, চিকিৎসকদের সহায়তা করার মতো কাজগুলিতে বিঘ্ন ঘটে৷ দ্রুত মাইনে পাওয়ার আশ্বাসে কর্মীরা এ দিন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেও, আগামীতে মাইনে না মিললে পূর্ণ সময় কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
সিউড়ি সদর হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ড বয়, ওয়ার্ড গার্ল, হাউস কিপার এবং নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে মোট ১৫২ জন কাজ করেন। এদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেন না। একটি এজেন্সি মারফত এদের নিয়োগ করা হয়। কর্মীদের বেতনও হয় এজেন্সি থেকেই। কিন্তু এ বার মাইনে হতে অস্বাভাবিক রকমের দেরি হওয়ায়, এ দিন বাধ্য হয়েই প্রতিবাদে শামিল হতে হয়েছে বলে দাবি কর্মীদের।
কার্তিক দাস নামে এক কর্মী বলেন, “দোকানে ধারের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, অনেকে ধার দিতেও অস্বীকার করছেন। সুপার এবং নেতাদের কথায় এ বারের মতো কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হলেও বেতন না হলে নেতাদের অনুমতি নিয়েই আমরা হাসপাতালের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ না করেই আরও বড় কর্মবিরতি পালন করব।”
এ দিন কর্মবিরতির খবর পেয়েই সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল সেখানে উপস্থিত হয়ে কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের তরফ থেকে স্বাক্ষর করে যে সব কাগজ পাঠানোর কথা, তা আমরা সময় মতোই পাঠিয়েছি। আমাদের তরফ থেকে কোনও ত্রুটি নেই। এজেন্সিই মাইনে দিতে দেরি করছে৷ এই বিষয়ে আমাদের সরাসরি কিছু করার নেই। তা সত্ত্বেও আমরা ব্যক্তিগত স্তরে এজেন্সির সঙ্গে কথা বলেছি। ওঁরা দিচ্ছি, দেব বলে বিষয়টা ঝোলাচ্ছেন। হাসপাতালের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনও ভাবেই কাম্য নয়। আশা করি দ্রুতই এজেন্সি সমস্ত কর্মীদের টাকা মিটিয়ে দেবে।”
জানা গিয়েছে, এ দিনের এই প্রতীকী কর্মবিরতির পরে এজেন্সির তরফ থেকে কর্মীদের জানান হয়েছে, শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই তাঁদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে।