বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। — ফাইল ছবি।
বিশ্বভারতীর এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাতি বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগে এ বার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ তিন প্রশাসনিক আধিকারিককে তলব করল সিউড়ি জেলা আদালত। শুক্রবার আদালত নির্দেশ দেয় ১৮ আগস্ট উপাচার্য-সহ তিন আধিকারিককে এজলাসে হাজির হতে হবে।
চলতি বছরের ৫ জুলাই শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বভারতীর ডেপুটি রেজিস্ট্রার এবং শিক্ষা এবং গবেষণা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রশান্ত মেষরাম। তাঁরা অভিযোগের ভিত্তিতেই জল গড়ায় সিউড়ি জেলা আদালত পর্যন্ত।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র থেকে কর্মসূত্রে শান্তিনিকেতনে এসেছেন প্রশান্ত। তিনি তফসিলি উপজাতিভুক্ত। শুধুমাত্র এই কারণেই হেনস্থা এবং কর্মজীবনে নানা অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে কোরাপুটের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় উড়িষ্যায় কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন হিসাবে মনোনীত হন প্রশান্ত। এর পরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে অব্যাহতি না দিয়ে যাতে ‘সার্ভিস ব্রেক’ হয় সেই চেষ্টা করতে থাকেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ’ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রথমে কেন্দ্রীয় তফসিলি জাতি কমিশনের দ্বারস্থ হন। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘‘বিশ্বভারতী এর আগে এত নীচে নামেনি। নিশ্চয়ই আদালতে এর বিচার হবে। বিশ্বভারতী আর কত নীচে নামবে, সেটাই এখন দেখার। এটা চরম দুর্ভাগ্যের। এর থেকে দুঃখের আর কী হতে পারে!’’ প্রাক্তনী মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপাচার্যের এমন আচরণ নতুন নয়। এটা বিশ্বভারতীর কাছে লজ্জার এবং অমানবিক।’’ এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি।