ফাইল চিত্র
করোনা-সংক্রমণ দেশে বেড়েই চলেছে। এই আবহে ঝুঁকি না নিয়ে আপাতত ক্যাম্পাস না খোলার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী। সোমবার সন্ধ্যায় নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার আগে পর্যন্ত পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং অন্যান্য ভবনের অন্তিম সিমেস্টারের পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২ জুন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, আগামী ২৮ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস। অন্তিম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের পয়লা জুলাই-এর মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরতে বলা হয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, ২২ জুলাই থেকে শুরু হবে অন্তিম সিমেস্টার। একই সঙ্গে পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও পয়লা জুলাইয়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে ফিরতে বলা হয়। ১০ জুলাই থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতির প্রয়োজনে এই সূচি বদলে যেতে পারে। সেই কথা মতোই দেশ জুড়ে করোনা অতিমারির প্রকোপ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় আপাতত পরীক্ষা পদ্ধতি স্থগিত রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে বিশ্বভারতী সূত্রের খবর।
২ জুনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরেই ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকদের একটি বড় অংশ এ মাসে ক্যাম্পাস খোলার বিরোধিতা করেছিলেন। পরিবহণ সমস্যা, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সমস্যা এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন তাঁরা। পড়ুয়া, অধ্যাপকদের তরফ থেকে এ বিষয়ে বিকল্প পরীক্ষা পদ্ধতির সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে বিকল্প পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু না জানানো হলেও পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে স্বীকার করে নিয়ে আপাতত ক্যাম্পাস বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “এই পরিস্থিতিতে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঠিক, কিন্তু কর্তৃপক্ষকে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, সব কিছু স্বাভাবিক হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনও ভাবেই বিশ্বভারতী যেন চিরাচরিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথা না ভাবে।’’