Shantiniketan

‘শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব নয়, বসন্ত তাণ্ডব হত, বন্ধ করে দিয়েছি’, বললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ

২ বছর কোভিড আবহে বসন্ত উৎসব বন্ধ ছিল। তার পর ২০২২ সালেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে হস্টেল খোলা-সহ ছাত্র আন্দোলনের কথা বলেছিলেন উপাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ১০:২৩
Share:

বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের ‘প্রথা’ পরিবর্তনের কথা বললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবের নামে ‘বসন্ত তাণ্ডব’ হয়। তাই তাঁরা উদ্যোগী হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে এমনই মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর এ-ও অভিযোগ, বিশ্বভারতী অশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিত ব্যক্তিতে ভরে গিয়েছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘এমন বসন্ত উৎসব’ চাননি।

Advertisement

পর পর দু’বছর কোভিড আবহে বসন্ত উৎসব বন্ধ ছিল। তার পর ২০২২ সালেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সে বার কারণ হিসাবে হস্টেল খোলা-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু এ বারও বসন্ত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের বিরোধের মাঝে কেন বসন্ত উৎসব বন্ধ হল তা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে উপাচার্যকে।

বিদ্যুতের দাবি, বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের পিছনে ‘‘কিছু বুড়ো খোকার ভূমিকা থাকে।’’ অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়েরই একাংশকে নিশানা করেছেন উপাচার্য। তিনি জানান, এ বারও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বসন্ত উৎসব হচ্ছে না। তার পরিবর্তে করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা। আগামী ৩ মার্চ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। শুধুমাত্র উপস্থিত থাকতে পারবেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। কেন ‘বসন্ত বন্দনা’র আয়োজন হয়েছে, এ নিয়ে বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলে করা হচ্ছে ‘বসন্ত বন্দনা’। এর পরই উপাচার্য বলেন, ‘‘২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। তাই বন্ধ করেছি। এখন বসন্ত বন্দনা হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, চেয়েছিলেন বন্দনা। উৎসবের নামে এই তাণ্ডব হবে, ভাবতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তাই বিশ্বভারতী এই তাণ্ডব বন্ধ করতে চেয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর বহু মানুষ বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে শামিল হতে দূরদূরান্ত থেকে হাজির হন শান্তিনিকেতনে। ফাগুনে ভরে ওঠে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা। তবে গত ৩ বছর ধরে তা বন্ধ আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement