অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
মাস কয়েক আগে পড়ুয়াদের মিড-ডেমিলে সাপ মিলেছিল ময়ূরেশ্বরের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তাই নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ সামাল দিতে হয়েছিল শিক্ষা দফতরকে। এ বার রান্না করা খাবারে বিছে পাওয়ার অভিযোগ উঠল কীর্ণাহারের পরোটা ২২ নম্বর অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে। ওই অভিযোগে শনিবার অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্রে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশকে আসতে হয়।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরোটা গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৯২ জন কচিকাঁচা সহ সাত প্রসুতি এবং গর্ভবতী মহিলাকে মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। সেই মতো শনিবারও তাঁদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছিল। খেতে খেতে এক পড়ুয়ার পাতে বিছে মেলে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। গ্রামবাসী সুলেখা মেটে, সঞ্জীব মেটেরা অভিযোগ করেন, ‘‘বিছে পড়েছে জানার পরেও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সেই খাবার ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে বাচ্চাদের পরিবেশন করেন। বিছেকে বরবটি কলাই বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।’’
কর্মী তন্দ্রা দে অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বিছে পড়েছে জানার পরেই আমি খাবার ফেলি দিই। তার আগে কয়েক জনকে অবশ্য বিলি করা হয়ে গিয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, দু’বছর ধরে কেন্দ্রে কোনও সহায়িকা নেই। তাঁকে একা হাতে এত জন ছোট ছেলেমেয়ের দেখভাল সহ রান্নাবান্না করতে হয়। তাই অসাবধানতাবশত কখন বিছে পড়েছে, তিনি জানতে পারেননি। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর আরও অভিযোগ, সমস্যার কথা প্রশাসনের সকল স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
নানুর ব্লকের সুংসহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক বা সিডিপিও রাকেশ কুমার পান্ডে বলেন, ‘‘খবরটা শোনার পরেই আমি ওই কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সব পক্ষের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলে এসেছি। এর পরে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট জেলাস্তরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ , সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, শুধ ওই কেন্দ্রেই নয়, আরও বেশ কিছু কেন্দ্রে সহায়িকা এমনকি কর্মীপদ শূন্য রয়েছে। জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।a