রামপুরহাটে লরি চালক খুনে ধৃত দুই

লরিচালক সর্বেশ জায়সবাল খুনের ঘটনায় এক ডাম্পার চালক এবং তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ। রামপুরহাটের মনসুবা মোড় এলাকার ওই ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দু’জনকে পুলিশ আটক করেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাবা বাবুলাল জায়সবাল ওই ঘটনায় চালক এবং খালাসি-সহ আরও সাত- আট জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৫ ০১:১২
Share:

লরিচালক সর্বেশ জায়সবাল খুনের ঘটনায় এক ডাম্পার চালক এবং তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেফতার করল জেলা পুলিশ।

Advertisement

রামপুরহাটের মনসুবা মোড় এলাকার ওই ঘটনায় সোমবার রাতেই ওই দু’জনকে পুলিশ আটক করেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের বাবা বাবুলাল জায়সবাল ওই ঘটনায় চালক এবং খালাসি-সহ আরও সাত- আট জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা শুরু করেছে। যদিও এ রকম একটি নৃশংস ঘটনায় ওই ঘটনায় কেন পুলিশ সরাসরি খুনের ধারা দিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এ দিন পুলিশ জানায়, ধৃত ডাম্পার চালকের নাম মোশারফ শেখ। তার বাড়ি রামপুরহাট থানার বালিয়া নারায়ণপুর গ্রাম। ধৃত খালাসির নাম সুকুল টুডু। তার বাড়ি রামপুরহাট থানার মুড়গাডাঙা এলাকায়। আজ বুধবার ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হবে। এসডিপিও (রামপুরহাট) জোবি থমাস কে এ দিন বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জন ধরা পড়েছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’’

Advertisement

এ দিকে, দুই ছেলের সঙ্গেই লরি নিয়ে নিহতের বাবা বাবুলাল জায়সবাল দীর্ঘ দিন ধরে রামপুরহাট এলাকা থেকে কলকাতায় পাথর বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে আসেন। সোমবারও তিনি এসেছিলেন। প্রথমে ঝামেলার সময় বাবুলাল বড় ছেলে সর্বেশের গাড়িতেই ছিলেন। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে বচসা হওয়ার পরে তিনি ছোট ছেলে রাজকুমারের লরিতে চেপে জাতীয় সড়কের ধারে চলে আসেন বলে জানিয়েছেন। ছোট ছেলের সঙ্গে তিনিও পরে জানতে পেরেছিলেন বড় ছেলেকে লরি আটকে মারধর করার কথা। পেটের তাগিদে দেশ ছেড়ে এ রাজ্যে কাজ করতে এসে এই ভাবে ছেলেকে হারাতে হবে, তা যেন কিছুতই মানতে পারছেন না বৃদ্ধ বাবা। তিনি এ দিনও বলেন, ‘‘পথেঘাটে এ রকম বচসা তো কতই হয়ে থাকে। কিন্তু, তা বলে ওরা যে এ ভাবে আমার ছেলেকে খুনকরে ফেলবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি!’’ ছেলের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শোকে কাতর বাবা।

অন্য দিকে, হাসপাতাল সূত্রে এ দিন জানা গিয়েছে, নিহত সর্বেশ জায়সবালের দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মারের চোটে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ দিনই মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। সেই রিপোর্ট আসার আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement