আতঙ্ক: বোলপুর। —নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার সকালে বোমাবাজিতে তেতে উঠল বোলপুরের বড় শিমুলিয়া গ্রাম। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকার ভাগ-সহ একাধিক প্রকল্পে বরাদ্দ উন্নয়নের টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পুরনো বিবাদ থেকেই বোমাবাজি বলে স্থানীয় সূত্রের অভিযোগ। গ্রামবাসীর আর্জি, শান্তি বজায় রাখতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হোক। বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশ এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত হাসেম শেখ ও ছোটন শেখকে গ্রেফতার করেছে। বোলপুর থানার বাহিরি-পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় শিমুলিয়া গ্রামে ৮০টি বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি পিছু এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অভিযোগ, এই টাকার ভাগ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাসেম শেখের সঙ্গে শেখ নাসির, দোলন শেখ গোষ্ঠীর ১১ অগস্ট হাতাহাতি হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় নাসির গোষ্ঠীর চার জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে গ্রামে উত্তেজনা ছিল। শুক্রবার ফের বরাদ্দ টাকার ভাগ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ন’টা নাগাদ নাসির গোষ্ঠীর লোক জন বহিরাগতদের এনে গ্রামের রাস্তায় বোমাবাজি করে। আতঙ্ক তৈরি করতে শূন্যে গুলিও চালায়। হাসেম গোষ্ঠীর লোক জন পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ফের বোমাবাজি করে বলেও অভিযোগ। যদিও, এই ঘটনায় কোনও পক্ষের কেউ হতাহত হননি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরই তৃণমূলের নেতা হিসাবে পরিচিত হাসেম ও ছোটনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
অন্য দিকে, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা গ্রামের মুখে জড়ো হন। তাঁদের দাবি, প্রায়ই গ্রামে বোমাবাজি হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। স্বাভাবিক জীবনযাপন শিকেয় উঠেছে। তাই গ্রামে সব সময়ের জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হোক। বেলি বিবি, ফিরিদা বিবি, হালিমা বিবিরা বলেন, “পুলিশ গ্রাম থেকে চলে গেলেই
বহিরাগত লোকজন এসে বোমাবাজি করছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।