যন্ত্রণা: নলহাটি থেকে প্রতিদিন এ ভাবেই ট্রেনে চাপতে হয় যাত্রীদের। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
নলহাটি আদতে ব্যবসার জায়গা বলেই পরিচিত। বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকা ঘিরেই নলহাটি থানার অধিকাংশ এলাকা এবং সীমান্ত ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের পাখুড়িয়া, রদিপুর থানার
বাসিন্দাদের রুটি রোজগার ও অর্থনীতি নির্ভরশীল। আবার নলাটেশ্বরী মন্দির দেখতে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে পর্যটক আসেন এই স্টেশনে নেমে। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও পার্শ্ববর্তী জেলা মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও নলহাটি রেল স্টেশনের গুরুত্ব কম নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, যাত্রীদের ভিড় থাকা সত্ত্বেও নলহাটিতে অধিকাংশ ট্রেনের স্টপেজ নেই। এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ না থাকার জন্য নলহাটি বাসী ও বহিরাগতদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
পূর্বরেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, ভাগলপুর, গয়া কিংবা উত্তরবঙ্গের মালদা, নিউজলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট এই সমস্ত জায়গা যাওয়ার জন্য অধিকাংশ ট্রেন নলহাটি স্টেশনের উপর দিয়ে চলাচল করে। এলাকাবাসীর দাবি, ‘‘নলহাটিকে ঘিরে ব্যবসার ক্ষেত্র গড়ে উঠেছে। একটি তীর্থস্থানও রয়েছে। অথচও হাওড়া বা শিয়ালদহ যাওয়ার জন্য নলহাটিতে কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায় না।’’ এলাকার বাসিন্দারা জানান, কলকাতা বা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন নলহাটিতে নলাটেশ্বরী মাতা দর্শন করতে এসে সকলেই হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে নলহাটি পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন পান না। তাঁদেরও দুর্ভোগ হয়।
বাসিন্দাদের দাবি, কলকাতা যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের ভোরের দিকে রামপুরহাট থেকে হাওড়াগামী বিশ্বভারতী এক্সপ্রেস ট্রেনের উপর নির্ভর করতে হয়। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী ধরতে যাওয়ার জন্য সংযোগকারী ট্রেন দেরী করলে রামপুরহাটে অনেক সময় ট্রেন পাওয়া যায় না। আবার তাঁদেরকে পরবর্তী মালদা থেকে হাওড়াগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রেও অনেক সময় ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে তাঁদেরকে ট্রেন ধরতে হয়।