হাতে নকল ইভিএম, বির্তকে নেতা

ভোটের দিন বুথের কাছে নকল ভোটযন্ত্র নিয়ে ভোটারদের বোঝাতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রীর ভাই। শনিবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়া বুথের বাইরে নকল ইভিএম নিয়ে ভোটারদের বোঝানোকে ঘিরে এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

নকল ইভিএম নিয়ে ভোটের দিন শনিবার প্রার্থীদের বোঝাচ্ছেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর ভাই বিমলকান্ত মাহাতো। ছবি: সুজিত মাহাতো।

ভোটের দিন বুথের কাছে নকল ভোটযন্ত্র নিয়ে ভোটারদের বোঝাতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন মন্ত্রীর ভাই।

Advertisement

শনিবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়া বুথের বাইরে নকল ইভিএম নিয়ে ভোটারদের বোঝানোকে ঘিরে এই বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর আসনে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এ দিন সেখানেই নকল ইভিএমের একটি স্যুইচে আঙুল ছুঁইয়ে বোঝাতে দেখা যায় তৃণমূলের যুব নেতা বিমলকান্ত মাহাতো। তিনি পশ্চিমাঞ্চল মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর ভাই। মন্ত্রীর ভাই হওয়ায় বিতর্ক আরও জমাট বেঁধেছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, তিনি মোটেই তৃণমূলকে ভোট দিতে এ দিন প্রচার করেননি। ভোটারদের ভোটদানের পদ্ধতি নিয়ে ঠিকমতো ধারণা না থাকায়, তিনি শুধু ভোটযন্ত্রে কী ভাবে ভোট দিতে হয় তা বোঝাচ্ছিলেন। তাও বুথ থেকে অনেকটা দূরে।

কংগ্রেসের জেলা সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘এ দিন নির্বাচন চলার সময়ে কাউকে ভোট নিয়ে প্রচার করাই উচিত নয়। বুথ থেকে ২০০ মিটারের বাইরে হলেও এ দিন নকল ইভিএম নিয়ে কোনও প্রতীক বা যেখানে প্রতীক রয়েছে সেই নম্বরের জায়গা দেখানো যায় না। এটা তো একভাবে দলের প্রচার করা। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।’’ সিপিএমের পুরুলিয়া ১ জোনাল কমিটির সদস্য অনুরূপ গোপও বলেন, ‘‘এ দিন কাঁটাবেড়া বুথের বাইরে এলাকার তৃণমূলের যুবনেতা বিমলকান্ত মাহাতো মহিলা ভোটারদের নকল ইভিএম নিয়ে প্রতীকের জায়গা দেখাচ্ছেন— এ রকম দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এটা কি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে না? ভোটের দিনে এ ভাবে কি নকল ভোটযন্ত্র নিয়ে ভোটারদের বোঝানো যায়? এটা ওই নেতার জানা উচিত ছিল।’’

Advertisement

বিমলকান্ত মাহাতোর দাবি, ‘‘প্রথমত আমরা বুথ থেকে ২০০ মিটারের বাইরে ছিলাম সারাদিন। আর কোনও ভোটারকেই প্রতীক দেখিয়ে বোঝানো হয়নি। যে সমস্ত ভোটারেরা জানতে চাইছিলেন কী ভাবে ভোট দেবেন, তাঁদেরই নকল ভোটযন্ত্র দেখিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। মোট ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলেই রয়েছে ১৪টি আসন। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই অভিযোগ তুলে ফায়দা করতে পারবে না বিরোধীরা।’’

জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোটকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটারের বাইরে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরাই থাকতে পারেন। কোনও ভোটার তাঁদের যদি কিছু জিজ্ঞেস করেন তাহলে তাঁরা সেই ভোটারকে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্যও করতে পারেন। এটা নির্ভর করে ভোটার কী প্রশ্ন করছেন তার উপরে। তবে কোনও প্রতীক দেখিয়ে প্রচার করা যাবে না।’’ প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগও জমা পড়েনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement