আশঙ্কা ছিলই, হলও তাই। যানজট আর ভোগান্তিতে কাটল এ বারও বসন্তোৎসব। দোলের শান্তিনিকেতন রঙিন হলেও, দিনভর ঠাসা ভিড়ের পথে নেমে বিপাকে পড়তে হল মানুষকে। বিশ্বভারতীর রীতি মেনে বুধবার সকালে শুরু হয় উৎসব। অনুষ্ঠানের সূচনা অবশ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশ্রম মাঠে বসন্ত বন্দনা এবং রাতে গৌরপ্রাঙ্গনে বৈতালিকের মধ্য দিয়ে। বুধবার উৎসবের শোভাযাত্রা এবং আশ্রম মাঠের অনুষ্ঠানও হয়েছে যথা নিয়মে। রাতের অনুষ্ঠান ছিল রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। উৎসব উপলক্ষে, লক্ষাধিক জন সমাগমের কারণে এবং পর পর ছুটি থাকায় ভিড়ের আশঙ্কা ছিল সংশ্লিষ্ট সব মহলের। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকলেও, যানজটে হেনস্থা এবং ভোগান্তি হয়েছে দর্শকদের। জেলার এক পুলিশ কর্তার দাবি, বড় গাড়ি পারকিং করার জন্য চিহ্নিত জায়গা শেষ মুহূর্তে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। ফলে ওই সমস্ত গাড়ি মেলার মাঠে নিয়ে আসতে গিয়ে গোটা শহরের যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র লোক ঢোকানোর কারণে ভোগান্তি বেড়েছে দর্শকদের। বিশ্বভারতীর অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
মারধর। সিপিএম প্রার্থী আইনুল হকের সমর্থনে প্রচারের পোস্টার, ব্যানার ছেঁড়া ও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিয়োগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের গোদা এলাকার ঘটনা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বুধবার রাতে ওই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা এই কাজ করেছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। তৃণমূল অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।