বিধানসভা ভোটের আগে নলহাটি এলাকায় একটি সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলি তাদের নিজেদের মধ্যে মহড়া সেরে নিল। সেই মহড়ায় সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করে ভোটের ফলে সমান সমান থাকল বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট এবং তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ভোটের ময়দানে থেকেও বিজেপিকে অবশ্য শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে।
রবিবার নলহাটি থানার নসিপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচন ছিল। নির্বাচনের পর্যবেক্ষক অনুপ বসাক বলেন, ‘‘সমবায় সমিতিটিতে নসিপুর, কাদাসির, সিংডহরী এবং ভবানন্দপুর এই চারটে গ্রাম থেকে ৬০২ জন শেয়ারহোল্ডার। সমবায় সমিতির উপবিধি অনুযায়ী প্রতিটি গ্রাম থেকে তিন জন করে পরিচালন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে চারটি গ্রাম থেকে মোট ১২ জন সদস্যের নির্বাচন হয়। এ দিন মোট ৫৪৪ জন শেয়ারহোল্ডার ভোটদানে যোগদান করেন।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদাশির, নসিপুর, ভবানন্দপুর— এই তিন গ্রাম থেকে তৃণমূল, বামপন্থী প্রগতিশীল জোট এবং বিজেপি এই তিনটি দলের তিনজন করে ন’জন করে প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে। সিঙডহরী গ্রামে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতা করেননি। ফলে ওই গ্রামে বামপন্থী প্রগতিশীল জোট এবং তৃণমূল সমর্থিত তিন জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করে।’’ ভোটের ফলাফলে দেখা যায় ১২টির মধ্যে ৬টি পেয়েছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ৬ টি পেয়েছে বামপন্থী প্রগতিশীল মোর্চা প্রার্থীরা।
বিধানসভা ভোটের আগে দুই দলের জয়ের এই ভারসাম্যতা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের নলহাটি জোনাল সম্পাদক সনৎ প্রমাণিক বলেন, ‘‘কিছু এলাকায় আমরা দুর্বল আছি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুধরে নিতে হবে।’’ ফলাফল নিয়ে তৃণমূলের নলহাটি ১ ব্লক সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা ভালো ফল করেছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আরও ভাল ফল করব।’’