(বাঁ দিকে) অনুব্রত মণ্ডল এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
অনুব্রত মণ্ডল জেলায় ফেরার পরে বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সাপ্তাহিক বৈঠক স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, হঠাৎই আগামী ১৬ তারিখ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের কথা কোর কমিটির সদস্যদের ফোন করে জানানোও হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোর কমিটি রেখে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। কোর কমিটিতে জেলা সভাপতি কেষ্ট মণ্ডলের কী ভূমিকা হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দেন তিনি। তার পরেই কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে জেলা তৃণমূলের এই তৎপরতাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনুব্রত গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে বীরভূমের সংগঠন পরিচালনায় কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, অনুব্রত ফিরে না আসা পর্যন্ত তিনিই বীরভূমের সংগঠন দেখবেন। পুজোর আগে অনুব্রত জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে কোর কমিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে তৃণমূলের নানা স্তরে আলোচনা চলছিল। অন্য দিকে, অনুব্রতের জেলা এবং সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের পরে কমিটির বৈঠক স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এটির গুরুত্ব এবং কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তবে এই বৈঠকে অনুব্রত যোগ দেন কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
বৃহস্পতিবার ছিল অভিষেকের জন্মদিন। ওই দিনই বীরভূমে দলের কোর কমিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘ব্যক্তিগত অভিমত’ ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার ব্যক্তিগত মত, কোর কমিটি থাকা উচিত। কারণ, এই কোর কমিটিই বীরভূমে আমাদের দু’টি (লোকসভা) আসনে জয় ধরে রেখেছে। ব্যবধানও বাড়িয়েছে।’’ অভিষেকও ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অনুব্রতকে কোর কমিটি রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। কেষ্টর ভূমিকা নিয়ে অভিষেক বলেন, “উনি কোর কমিটিকে পরিচালনা করবেন।’’
উল্লেখ্য, কোর কমিটি রাখার পক্ষেই মতামত জানিয়েছেন অনুব্রত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘কোর কমিটির সদস্যের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমি দিদি এবং অভিষেকের সঙ্গে কথা বলব। কারণ, এই কমিটির অনেকেই বোলপুরের। আরও অন্য জায়গা থেকে সদস্য নেওয়া দরকার।’’