আশ্বাস: বল্লভপুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
ইচ্ছে ছিল সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখবেন। হাঁটবেন তাঁর মিছিলে। শুনবেন নেত্রীর বক্তব্য। কিন্তু বোলপুরে গিয়েও ইচ্ছেপূরণ হল না। তাতেই মন খারাপ সিউড়ি শহরের তৃণমূলের নীচুতলার বহু কর্মীর। পরের বার ‘দিদি’ জেলায় এলে হয়তো ইচ্ছেপূরণ হবে বলে আশা ওই কর্মীদের অনেকের।
মঙ্গলবার বোলপুরে পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রার শেষে তিনি একটি পথসভাও করেন। সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে জেলা সদর থেকে প্রচুর নেতা কর্মী বোলপুরে গিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে কেন্দ্র করে বোলপুর শহরে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়ে যাওয়ায় তাঁরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। যানজটে আটকেই তাঁদের সময় কেটে গিয়েছে। তাতেই মন খারাপ ওই কর্মীদের।
সিউড়ির বড়বাগান এলাকার বাসিন্দা পার্থসারথি দাস বলেন, ‘‘আমরা বেরোনোর পরেই প্রথমে পুরন্দরপুরে, পরে আহমেদপুরে যানজটে আটকে যাই। যানজট কাটিয়ে কোনও মতে আমরা কোপাই পর্যন্ত যেতে পারি। সেখান থেকে আর বোলপুর পৌঁছতে পারিনি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যেতে পারিনি বলে খুব খারাপ লাগছিল। খুব কষ্ট পেয়েছি। তবে এটা দেখেও আনন্দ হয়েছিল যে দিদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হাজির হয়েছিলেন।’’ আরেক তৃণমূল কর্মী সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের গাড়ি রাখার জায়গা ছিল পারুলডাঙায়। কিন্তু যানজটের জন্য আমরা পারুলডাঙার তিন কিলোমিটার আগেই আটকে গিয়েছিলাম। দিদির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না, তাঁকে দেখতে পেলাম না এটাই বড় আফশোস।’’ একই আক্ষেপ দীপ্তম কাহার, উত্তম কাহারের মতো অন্য তৃণমূল কর্মীদের। তাঁদের আশা মুখ্যমন্ত্রী ফের জেলায় এলে তাঁর দেখা পাবেন তাঁরা।