শান্তি মিছিলে নিশানায় বিজেপি

জেলা সদর দাপিয়ে ‘শান্তি’ মিছিল করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে গলা চড়াল শাসকদল।গত মঙ্গলবার পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে সিউড়িতে একটি ধর্মীয় মিছিল হয়। বিশাল মিছিলটি ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৬
Share:

জেলা সদর দাপিয়ে ‘শান্তি’ মিছিল করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে গলা চড়াল শাসকদল।

Advertisement

গত মঙ্গলবার পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে সিউড়িতে একটি ধর্মীয় মিছিল হয়। বিশাল মিছিলটি ব্যারিকেড ভাঙলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। তিন জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ওই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। সে দিনই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন রবিবারের কর্মসূচির কথা জানিয়ে রেখেছিলেন।

রবিবার দুপুরের পর থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, লরি, ট্রাক্টরে, মোটরবাইকে কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেন। তৃণমূলের হিসাবে শুধু বাসই ছিল ৭০-৮০টি। এ ছাড়া শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল এসে মূল মিছিলে যোগ দেয়। পুলিশ লাইন থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের পাশ দিয়ে গিয়ে চৌতালি মোড় থেকে ডান দিকে বাঁক নিয়ে জেলা স্কুলের মাঠে এসে শেষ হয় মিছিলটি। কয়েক হাজার লোকের উপস্থিতিতে ওই মিছিলে পা মেলান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর মতো প্রথম সারির নেতারা।

Advertisement

রাজনীতির কারবারিদের মতে, গত মঙ্গলবারের মিছিলে নৈতিক সমর্থন ছিল বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের। ওই মিছিলের দিন কয়েক আগেই সিউড়ির কড়িধ্যায় রামনবমীর দিন অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়েছিল। দলীয় পতাকা না থাকলেও সে দিনের মিছিলটির সামনের সারিতে হেঁটেছিলেন বিজেপি ও সঙ্ঘের নেতারা। সেই থেকে অনেকেরই মনে হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি সক্রিয়তা বাড়াতে চাইছে। সেই ভাবনা থেকেই রবিবারের ‘পাল্টা মিছিল’ বলে মত তাঁদের। যদিও প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের কেউই সে কথা মানতে চাননি।

আড়ালে শাসকদলের কিছু নেতা অবশ্য মানছেন, বিজেপি-র সক্রিয়তাকে হাল্কা ভাবে না নিয়ে পাল্টা মাঠে নামার কৌশল নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আলিগড়ের বিজেপি-র যুব মোর্চার নেতা যোগেশ ভার্সনে যে ভাবে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেছেন তার প্রতিবাদ করা কর্তৃব্য বলেই মনে করেছে তৃণমূল। ফলে তৃণমূলের কাছে এ দিনের মিছিল ছিল চ্যালেঞ্জের। স্বভাবতই এ দিনের শান্তি মিছিলে বিজেপি-র বিরুদ্ধে গলা চড়ায় তৃণমূল। সাম্প্রদায়িক সুস্থিরতা নষ্ট করার জন্য এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘খুনে’ হুমকি দেওয়ার মতো বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement