আহতের পরিচর্যা। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েতে বিজেপির স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে উত্তেজনা ছড়াল খাতড়া ব্লকের সুপুর পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বরে। অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শশধর দাসকে মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ দুই মহিলা-সহ চার বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, তাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করেছে পুলিশ। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত দুপুর ১টা নাগাদ। এ দিন ছয় দফা দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত সুপুর পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ছিল বিজেপির। গোলমালের আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। বিজেপির প্রতিনিধি দল পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা শুরু করেন। সেই সময়ে সেখানে ছিলেন শশধরবাবু। বিজেপির অভিযোগ, স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় শশধরবাবু বিরূপ মন্তব্য করেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে বেরনোর পথে আক্রান্ত হন শশধরবাবু। তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শশধরবাবুর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসার সময় কয়েকজন বিজেপি সমর্থক আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। মাথায় আঘাত লেগেছে।’’ খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে থানায় যান তিনি। সেখানে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তৃণমূল নেতা।
এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা জানান, ওই ঘটনায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মনোরমা গোস্বামী, টুলু বাউরি, রাজু ধীবব ও গৌতম মুর্মু। তাঁরা সকলেই সুপুরের বাসিন্দা।
খাতড়া (উত্তর) মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি আদিত্য ঘোষের দাবি, তাঁদের দলের কেউ ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করেনি। মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করিয়েছে তৃণমূল। ওই বিজেপি নেতার পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের মারধর করে পুলিশ। বিজেপির রাজ্য যুবমোর্চার নেতা দীপক দাসের অভিযোগ, ‘‘স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় বিরূপ মন্তব্য করছিলেন শশধরবাবু। পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে যাওযার সময় তিনি বিজেপি কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটরবাইকে চেপে বেরিয়ে যান। রাস্তায় তাঁকে কে মারধর করেছে তা জানি না।’’