—ফাইল চিত্র
জেলার কোনও নেতা কি বিজেপি-তে যাচ্ছেন, এই জল্পনার মধ্যে দল ছাড়লেন সিউড়ি ১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। করম হোসেন খান নামে ওই নেতা শুক্রবারই জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে মেদিনীপুরের পথ ধরেছেন। করম বলে দিচ্ছেন, ‘‘তৃণমূল দলে এখন দমবন্ধ করা পরিবেশ। তাই শুভেন্দুদার (অধিকারী) সঙ্গে শনিবার বিজেপিতে যোগ দিতে মেদিনীপুর যাচ্ছি।’’
হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? তার উত্তরে করমের অভিযোগ, যাঁদের কাঁধে বন্দুক রেখে ‘অন্যায়’ করতে বাধ্য করিয়ে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল, তাঁদেরকে এখন ছুড়ে ফেলা হচ্ছে।
করমের বক্তব্য, ‘‘তাঁবেদার ও তোলাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে দল। কোনও কাজ করার পরিবেশ নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।’’
করনমের দলত্যাগ ও তাঁর অভিযোগকে মোটেও পাত্তা দিতে চাইছে না শাসকদল। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলছেন, ‘‘ভিত্তিহীন কথাবার্তা। তা ছাড়া, দলের সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগই ছিল না গত দু’বছর। কী যায় আসে এমন কারও থাকা না থাকায়?’’ এ কথা জেনে করমের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘সময় হোক।’’
এলাকা সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমাকে ঘিরে চূড়ান্ত অশান্ত হয়েছিল সিউড়ি ১ ব্লক চত্বর। বোমাগুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল এলাকার এক রাজনৈতিক কর্মী দিলদার খানের। বিজেপি না তৃণমূল, নিহত কর্মীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা আজও রয়েছে। তার পর থেকেই এক সময় পাথরচাপুড়ি এলাকার প্রভাবশালী নেতা করম হোসেন খানকে ‘কোণঠাসা’ করার চেষ্টা শুরু হয়েছিল বলে তাঁর কিছু অনুগামীর দাবি। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে অন্য এক জনকে এলাকার দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই ক্ষোভেই করম বিজেপি-তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি।