তৃণমূল নেতার পায়ে গুলি, সুনসান বড় শিমুলিয়া গ্রাম

এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে রবিবার রাতে সংঘর্ষ, গুলি ও বোমাবাজিতে আবারও উত্তপ্ত হল বোলপুর থানার বাহিরী-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের বড় শিমুলিয়া গ্রাম। পাশাপাশি আটটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত আব্দুল হাসেম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:১৯
Share:

গ্রামের পথে টহল পুলিশের। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে রবিবার রাতে সংঘর্ষ, গুলি ও বোমাবাজিতে আবারও উত্তপ্ত হল বোলপুর থানার বাহিরী-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের বড় শিমুলিয়া গ্রাম। পাশাপাশি আটটি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত আব্দুল হাসেম।
তাঁকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, কোন নেতার হাতে এলাকার ক্ষমতা থাকবে সেই নিয়ে রবিবার রাতে বিবাদের শুরু। তারপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে গুলিও। সেই গুলি লাগে হাসেমের পায়ে। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এমন ঘটনা, তা মানেনি শাসকদল। তাদের দাবি, বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল বলেন, ‘‘বড় শিমুলিয়ার নাসির শেখ ও দোলন শেখ সিপিএম করে। তারা চেন্নাইতে থাকে। মাঝে মাঝে এখানে এসে এ রকম কাজকর্ম করে। পুলিশ ওদের খুঁজছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরেও ফেলবে।’’

গ্রামবাসীর একাংশ জানান, রবিবার রাতে আব্দুল হাসেমের অনুগামী ও দোলন শেখের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। চলতে থাকে গুলি-বোমার লড়াই। আগুন লাগানো হয় বাড়িতেও। এর মধ্যেই এক সময় গুলি লাগে হাসেমের পায়ে। কেন লড়াই?

Advertisement

আহত আব্দুল হাসেমের ছেলে শেখ মইনুলের অভিযোগ, ‘‘রবিবার তৃণমূলের মিটিংয়ে হাসেমকে কিছু দলীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই হিংসেতেই দোলন শেখের অনুগামীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।’’ দোলন শেখের অনুগামীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, আব্দুল হাসেম ও তাঁর দলবল বড় শিমুলিয়ার দখল নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে। উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করছে প্রতিনিয়ত। আব্দুল হাসেমের অনুগামীদের দাবি, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকা দখলের জন্যই এই অশান্তি করছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা বলছেন, ‘‘নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে চাপা দেওয়ার জন্যই সিপিএমকে দোষী করা হচ্ছে।’’

এ দিকে, সোমবারও সুনসান ছিল বড় শিমুলিয়া গ্রাম। সোমবার সকালেও ছিল পুলিশি টহলদারি। গ্রামের যেখানে, সেখানে পড়ে ছিল বোমা ও গুলির খোল। যদিও এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ কিংবা গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement