Child Trafficking

Bankura Child Trafficking: ৯ মাসের শিশুকেও পাচার! বাঁকুড়ার স্কুলে শিশু সুরক্ষা কমিশন

মঙ্গলবার ঘটনাটিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাঁকুড়ায় যান রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী। ঘটনার বিবরণ শুনে হতবাক তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ১৮:৪৯
Share:

নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার হওয়া শিশুদের মধ্যে ৯ মাসের শিশুও রয়েছে। বাঁকুড়ার শিশুপাচার-কাণ্ডে এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাঁকুড়ায় যায়। বাঁকুড়ার পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তদন্তের গতিপ্রকৃতির পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া শিশুদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর নেয় কমিশন। কমিশনের প্রতিনিধি দল বাঁকুড়ার একটি হোমে গিয়ে উদ্ধার হওয়া শিশুদের সঙ্গেও কথা বলেন। অন্য দিকে, শিশুপাচারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়ার কঠোর শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় পথে নামে একাধিক ছাত্র ও মহিলা সংগঠন। বিক্ষোভ দেখানো হয় বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতর ও সদর থানায়।

Advertisement

শিশুপাচার-কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার-সহ ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৮ জনকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ওই শিক্ষিকার কঠোরতম শাস্তির দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় যান রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। ঘটনার বিবরণ শুনে হতবাক হয়ে যান তিনি। বাঁকুড়া শহরে পৌঁছে প্রথমে সার্কিট হাউসে পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি। পরে জেলা প্রশাসন ও সমাজ কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের কাছে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং তাঁদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চান। ওই শিশুদের মধ্যে সর্বনিম্ন ৯ মাস থেকে ৬ বছরের শিশু। শুনে অবাক হন কমিশনের চেয়ারম্যান। এর পরেই তিনি রওনা দেন বাঁকুড়া শহর থেকে দূরে থাকা একটি হোমে। সেখানেই রাখা হয়েছে উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিশুকে। কমিশনের চেয়ারম্যান সেখানে গিয়ে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন।

মঙ্গলবার হোম পরিদর্শনের পর অনন্যা বলেন, “কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কায় ওই শিশুদের কাছাকাছি আমরা যাইনি। তবে দূর থেকে দেখেছি তারা সুস্থ, স্বাভাবিক ও হাসিখুশি অবস্থায় রয়েছে। হোমের যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পুলিশের কাছ থেকে শিশুদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শিক্ষকদের অনেকটা উঁচু জায়গায় রাখি আমরা। প্রধান শিক্ষকদের একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে। সেখানে ইনি কেমন শিক্ষক? এমন একটি ঘটনায় যদি প্রধান শিক্ষক যুক্ত থাকেন, তা হলে তার থেকে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?’’

Advertisement

মঙ্গলবার বাঁকুড়ার ওই হোমে যান তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদিকা তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, “ঘটনাটি নিন্দার ও লজ্জার। এই ঘটনায় যিনি বা যাঁরাই যুক্ত থাকুন না কেন, তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement