Laxmi Puja

গ্রামের লক্ষ্মীপুজোয় থিমের ছোঁয়া

মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের শুগুনপুর গ্রামেও খুব ধুমধামের সঙ্গে লক্ষ্মীপুজো পালন করা হয়। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বর্ষণ পাল বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে দুর্গাপুজো হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া, মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

সজ্জা: রানিপুরে লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপ। নিজস্ব চিত্র

গ্রামাঞ্চলেও থিমের ছোঁয়া লক্ষ্মীপুজোয়। সাঁইথিয়া ব্লকের দেরিয়াপুর পঞ্চায়েতের রানিপুর যুব সঙ্ঘের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুজোয় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে গুহার থিমে।

Advertisement

এই গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো। তাই গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ৫২ বছর ধরে চলে আসছে লক্ষ্মীপুজো। বাসিন্দারা জানান, তাঁদের কাছে সবথেকে বড় পুজো এটাই। তাই প্রতি বছর খুব ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় লক্ষ্মীপুজো। প্রতি বছর বিভিন্ন রকম ভাবে সাজিয়ে তোলা হয় পুজো মণ্ডপ। এ বছর গুহার আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।

পুজো কমিটির সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে সকলেই গৃহবন্দি। এলাকার মানুষ দুর্গা পুজোর সময় মণ্ডপ দেখতে যেতে পারেনি। তাই আমরা গ্রামের সকলকে আনন্দ দিতে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোট হলেও কিছুটা থিম তুলে ধরতে চেয়েছি। তাই এ বছর গুহার মধ্যে এক সাধু ধ্যানে মগ্ন অবস্থা তুলে ধরতে চেয়েছি এলাকাবাসীর কাছে।’’

Advertisement

মহম্মদবাজারের আঙ্গারগড়িয়া পঞ্চায়েতের শুগুনপুর গ্রামেও খুব ধুমধামের সঙ্গে লক্ষ্মীপুজো পালন করা হয়। পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বর্ষণ পাল বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে দুর্গাপুজো হয় না। বহু বছর ধরে এখানে লক্ষ্মীপুজোকে সাড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়।’’ উদ্যোক্তারা জানান, এখানে চার প্রহরের পুজো করা হয়। পুজো শেষে সারাদিন চলে কীর্তনগান।

প্রতি বছর পুজোর পরের দিন দুপুরে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষকে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হয়। আশপাশের বহু গ্রাম থেকে বাসিন্দারা প্রসাদ নিতে আসেন। প্রতিটি বাড়িতেই আসেন আত্মীয়-স্বজন। গ্রামের যে সমস্ত মানুষ বাইরে থাকেন তাঁরা সকলেই লক্ষ্মীপুজোয় বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু এ বছর করোনা আবহে বন্ধ সমস্ত অনুষ্ঠান। শুধুমাত্র রীতি মেনে পুজো হয়েছে। বন্ধ সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement