জানলার রড কেটে চোর বিডিও’র ঘরে

পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল চোর। যুগ্মবিডিও শালিনী মহাপাত্রদের আবাসনের পিছনের দিকে একটি জানলার রড ও জাল কেটে ভিতরে ঢুকে মোট চারটি কোয়ার্টারেই  চুরি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪৮
Share:

হানা: এ ভাবেই কাটা হয়েছে জানলার শিক। খয়রাশোলে। নিজস্ব চিত্র

পুজোর ছুটিতে আধিকারিকেরা রয়েছেন নিজেদের বাড়িতে। কেউ না থাকার সুযোগে খয়রাশোলের বিডিও, যুগ্মবিডিওদের আবাসনে চুরি হয়ে গেল বুধবার মধ্য রাতে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি সামনে আসে।

Advertisement

গৃহস্থের অনুপস্থিতিতে চুরি জেলায় কোনও নতুন ঘটনা নয়। তাই বলে, একটি ব্লকের প্রশাসনিক প্রধান বিডিও, যুগ্মবিডিওদের আবাসনেও চুরি! এই ঘটনায় খয়রাশোলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বাসিন্দাদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, জানালার রড কেটে ও তালা ভেঙে বিডিও, যুগ্মবিডিও-সহ মোট ৫টি আবাসনে ঢুকেছিল চোর। কী খোওয়া গিয়েছে সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে খয়রাশোলের বাসিন্দাদের প্রশ্ন সবচেয়ে ‘সুরক্ষিত’ জায়গা এবং ব্লক প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের আবাসন যদি নিরাপদ না হয়ে থাকে, তবে সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়? ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিডিও প্রশান্ত রাজ শুক্লাও।

ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের ব্লক কার্যালয়ের ঠিক সামনেই রয়েছে সীমানা প্রাচীর ঘেরা বিডিও এবং যুগ্মবিডিও-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের আবাসন। বিডিওর আবাসনের পিছনের দিকের বাড়িটির বিভিন্ন ভাগে থাকেন যুগ্মবিডিও শালিনী মহাপাত্র এবং বাকি তিন আধিকারিক। পুজোর ছুটিতে রয়েছেন সকলেই। সেই সুযোগেই কাজ সেরে পালিয়েছে চোর। অথচ ওই আবাসনের ৫০ মিটারের মধ্যে ব্লক অফিসেই রয়েছে মাও-দমনে আসা এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী। অন্যদিকে থানার দূরত্ব মেরেকেটে ১৫০ মিটার। বাজার রয়েছে সামনেই।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল চোর। যুগ্মবিডিও শালিনী মহাপাত্রদের আবাসনের পিছনের দিকে একটি জানলার রড ও জাল কেটে ভিতরে ঢুকে মোট চারটি কোয়ার্টারেই চুরি হয়। ঘরের দরজা ও আলমারি ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। এর পর বিডিও’র ঘরের তালা ভাঙা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ব্লক অফিসের জন্য বরাদ্দ একটি গাড়ির চালকের নজরে আসার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়।

বিডিও প্রশান্ত রাজ শুক্লা বলছেন, ‘‘আমার ঘরের তালা ভাঙলেও কিছু নেয়নি শুনেছি। তবে ঘটনাটি মোটেই কাঙ্খিত নয়। পুলিশকে বলেছি। নিরাপত্তারক্ষীরও ব্যবস্থা হবে।’’ যুগ্মবিডিও শালিনী মহাপাত্র বলছেন, ‘‘কী নিয়েছে জানি না, কিছু গয়না ছিল। যে ভাবে আলমারি ভেঙেছে ছবিতে দেখেছি, তাতে সেগুলি থাকার কথা নয়। শুক্রবার পৌঁছে বুঝতে পারব। এমনটা হবে ধারণা ছিল না।’’

একই অভিমত খয়রাশোলের বাসিন্দাদেরও। তাঁরা বলছেন, বোমা, বারুদ, খুন-জখম নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা খয়রাশোলে। এককথায় দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। চুরিও শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। কিছুদিন আগে থানার পিছনের দিকে এক স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতেই বড়সড় চুরি হয়েছে। কিন্তু বিডিও, যুগ্মবিডিওদের আবাসনেও চুরি হবে, ভাবতে পারেননি কেউ। ঘটনায় খয়রাশোলে ব্যবসায়ী সমিতিও উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। থানা জানায়, তদন্ত চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement