প্রতীকী ছবি।
নবম শ্রেণির পড়ুয়া বছর চোদ্দোর এক নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগে এলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত মনতোষ মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ‘পকসো’ ধারায় মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি গ্রামে বাড়ি হওয়ায় ওই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ছাত্রীটির বাবা নেই। তার মা দিনমজুরি করেন। অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হলেও ছাত্রীটির মা তা জানতেন না। কয়েকমাস আগে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। চাপ দিতে ঘটনার কথা স্বীকার করে সে। খবর পেয়ে পড়শিরা যুবককে চেপে ধরলে সে অস্বীকার করে। অভিযোগ, সে ভিন্ রাজ্যে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি বাড়ি ফিরলে বাসিন্দারা ফের তাকে চেপে ধরে। যুবক ফের অভিযোগ অস্বীকার করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনাচক্রে অভিযুক্তের বাবা সুকুমার মাহাতো এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। অভিযোগ, তিনি এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।’’ তবে বিজেপির বরাবাজার ব্লক সভাপতি লবসেন বাস্কে বলেন, ‘‘নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এর সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। অভিযোগ সত্যি হলে, শাস্তি হওয়া উচিত।’’
চাইল্ডলাইনের পুরুলিয়া জেলা কো-অর্ডিনেটর অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা বৃহস্পতিবার ছাত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। শুক্রবার ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। তার জবানবন্দিও আদালতে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ছাত্রীটি ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমরা ডিএনএ পরীক্ষার আবেদনও জানিয়েছি। আপাতত নাবালিকাকে তার মায়ের কাছে রেখে দেওয়া হবে। সময় হলে তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে প্রসব করানো হবে। পরিবার শিশুর দায়িত্ব নিতে না চাইলে, জেলা প্রশাসন ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’