প্রতীকী ছবি
এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষককে ক্লাস থেকে টেনে বার করে গাছে বেঁধে রাখল অন্য ছাত্রীরা। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার একটি জুনিয়র হাইস্কুলের ঘটনা। শেষ পর্যন্ত স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার সিংহমহাপাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ মানতে চাননি ওই প্রধান শিক্ষক। ঘটনার জেরে এ দিন স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না হয়নি।
ছাত্রীদের একাংশ এ দিন অভিযোগ করে, ওই শিক্ষক মাঝেমধ্যেই ক্লাস চলার সময় হঠাৎ ছাত্রদের বাইরে বার করে দেন। তার পরে কোনও ছাত্রীকে কাছে ডেকে তাকে গান গাইতে বলেন। কখনও সখনও অসৎ উদ্দেশ্যে ছাত্রীদের গায়ে হাতও দেন।
এ দিনও অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অরুণবাবু ‘অভব্য’ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই তাঁকে ক্লাস থেকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে ছাত্রীরা। তাঁকে গাছে বেঁধে রেখে গ্রামে খবর পাঠায় ছাত্রীরা। অভিভাবকেরা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় সিমলাপাল থানার পুলিশ। অরুণবাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’ যদিও অরুণবাবুর দাবি, ‘‘চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’ অভিযোগকারী ছাত্রীর দাবি, সম্প্রতি ওই শিক্ষক তাদের কারও কারও সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেছিলেন। আপত্তি করলেও শোনেননি। অরুণবাবুর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।
বিডিও (সিমলাপাল) রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, ‘‘ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ছাত্রীরা গাছে বেঁধে রেখেছিল বলে খবর পেয়েছি। ঠিক কী ঘটেছে, তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ খাতড়া মহকুমার সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অনিমেষ সৎপথীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ঘটনার কথা জানতে পেরে স্কুলে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় দেখি, পুলিশ ওই শিক্ষককে তুলে আনছে। তার পরে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি।’’ স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ষাটের কিছু কম। শিক্ষক পাঁচ জন। অরুণবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন অনিমেষবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি জেলা স্কুল পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।’’