তারাপীঠ মন্দির। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহে কালীপুজো। এ বার তারাপীঠ তাই অন্য ছবি। পুন্যার্থীর সংখ্যাও বেশ কম। তবে একেবারে কম নয়। তাই করোনা বিধি নিয়ে খুবই সতর্ক প্রশাসন। বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষও।
তারার অঙ্গে কালীর আরাধনা। কালী রূপে মা তারাকে আজ পুজো করা হবে। দ্বীপান্বিতায় সেই বিশেষ পুজো দেখতে পুর্ন্যার্থীদের ঢল নেমেছে তারাপীঠে। করোনা সচেতনতা ও পুর্ন্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে তারাপীঠ মন্দির কমিটি ও পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার গেট। মাস্ক ছাড়া মন্দিরে প্রবেশ করার কোনও অনুমতি নেই।
পুর্ন্যার্থীদের নিরপত্তার জন্য মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। রয়েছেন বীরভূম পুলিশের পুরুষ ও মহিলা পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বেসরকারি নিরপত্তা রক্ষী। শনিবার বেলা একটা চল্লিশ মিনিট থেকে অমাবস্যা তিথি। চলবে রবিবার দুপুর পর্যন্ত। তবে এদিন ভোরে মঙ্গলারতির পর থেকেই মা তারাকে পুজো দিতে ভিড় জমতে শুরু করেছে পুর্ন্যার্থীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ভিড়ের মাত্রা বাড়ছে।
রীতি মেনে এদিন রাতে মা তারাকে শ্যামা রূপে পুজো করা হবে। দেবী তারাকে স্বর্ণালঙ্কারে রাজবেশে সাজানো হবে। সেই বিশেষ পুজো দেখতে এদিন রাতে ভিড় জমে পুর্ন্যার্থীদের। অন্য দিনে মা তারাকে দুপুরে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে। তবে কালীপুজোর দিন দুপুরে তারা রূপে এবং রাতে শ্যামা রূপে অন্নভোগ নিবেদন করা হবে। তারাপীঠ মন্দিরের পাশাপাশি স্থানীয় মহাশ্মশানে কালীপুজোর রাতে তন্ত্রসাধনা করেন বহু সাধু ও তান্ত্রিক। অমাবস্যা তিথি শুরু হতেই মহাশ্মশানে জ্বলে উঠবে বহু হোমকুণ্ড। তার জন্য সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করছে বীরভূম জেলা পুলিশ।