প্রথম তিনে পশ্চিম বঙ্গের হাসপাতাল।
একটি সরকারি হাসপাতাল কতটা ভাল বা মন্দ, সেটা নির্ভর করে সেই হাসপাতালে পরিষেবার মান, রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা সহ একাধিক মাপকাঠির উপর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের ঠিক করে দেওয়া এমন আটটি মাপকাঠির নিরিখে তৃতীয় হল সিউড়ি জেলা হাসপাতাল।
সোমবার স্বাস্থ্য দফতর ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ‘কায়াকল্প’ প্রকল্পে রাজ্যে তৃতীয় সিউড়ি জেলা হাসপাতাল। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল দ্বিতীয় হয়েছে, যুগ্ম ভাবে রাজ্যে সেরা হয়েছে এম আর বাঙুর এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, কায়াকল্পে তৃতীয় হওয়া ছাড়াও সিউড়ি জেলা হাসপাতাল আরেকটি স্বীকৃতি পেয়েছে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ১ দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘দু’টি স্বীকৃতির জন্য সিউড়ি হাসপাতাল ৮ লক্ষ টাকা পাবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা প্রচার এবং জনস্বাস্থ্য পরিষেবার গুণমান উন্নত করতে ২০১৫ সালের ১৫ মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কায়াকল্প নামক একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য ছিল, এ ব্যপারে যে সব হাসপাতাল কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে সেই হাসপাতালগুলিকে স্বীকৃতি ও পুরস্কার দেওয়া। হাসপাতালের সুবিধা ও রক্ষণবেক্ষণ, পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য-ব্যবস্থাপনা, সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, রোগীর পরিজনেদের সহায়তা সেবা, হাসপাতালের চৌহদ্দির বাইরের কী অবস্থা এমন আটটি মাপকাঠি রয়েছে। সেগুলি খুঁটিনাটি যাচাইয়ের পরে যে যে ব্লক, মহকুমা ও জেলা হাসপাতালগুলি ৭০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে সেই হাসপাতালগুলিই পুরস্কারের যোগ্য।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট মাপকাটির নিরিখে ভাল হলে ২, মাঝারি হলে ১ খারাপ হলে ০ দেওয়াই রীতি। একটি স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকেরা অন্য একটি স্বাস্থ্য জেলায় গিয়ে মাপকাঠি ধরে ধরে বিচার পর্ব সম্পন্ন করেছেন। সিউড়ি জেলা হাসপাতালের গুণমান যাচাই করেছেন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকেরা। এক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিউড়ি। প্রাপ্ত নম্বর ৯০.২৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পরিবেশবান্ধব হাসপাতাল হিসাবে সিউড়ি পেয়েছে ৯১.৯০ শতাংশ নম্বর। পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামোর দিক থেকে সিউড়ি জেলা হাসপাতাল জেলার সেরা। স্বীকৃতিতে খুশি জেলা হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘খুব ভাল লাগছে। তবে আরও কাজ করার জায়গা রয়েছে।’’
শুধু জেলা হাসপাতাল নয় কায়াকল্পে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১১টি হাসপাতালই ৭০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে। এতে রাজনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রাজ্যে পঞ্চম, বীরভূমের সেরা হয়েছে।