প্রতীকী ছবি।
আজ, বুধবার রামপুরহাট পুরসভার মাঠে শুরু হচ্ছে জেলা বইমেলা। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। করোনা আবহে এবারের মেলায় ৫০টি স্টল করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বাদ রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং বীরভূম জেলা বইমেলা কমিটি জানাচ্ছে, কোভিড বিধিনিষেধ মেনে বইমেলার আয়োজন হচ্ছে। অন্য দিকে, বইমেলা হলেও গ্রন্থাগারগুলি করোনা আবহে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার ফলে পাঠকরা মুশকিলে পড়েছেন। গ্রন্থাগারগুলি থেকে বই লেনদেনও বন্ধ। অধিকাংশ পাঠক গ্রন্থাগার খোলার দাবি তুলেছেন।
বীরভূমে ১২৪টি গ্রন্থাগার আছে। এদের মধ্যে একটি জেলা গ্রন্থাগার। ১০টি টাউন লাইব্রেরি, বাকি ১১৩টি গ্রন্থাগার গ্রামীণ। বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলে। করোনা আবহে মার্চ মাসের শেষ দিকে লকডাউনের শুরুতে সেই যে গ্রন্থাগার বন্ধ হয়েছে। এখনও খোলেনি। মাসের মধ্যে দু’দিন গ্রন্থাগার কর্মীদের গ্রন্থাগারে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দু’দিন লাইব্রেরির বন্ধ ঘরে থাকা বই-এর তাক, আলমারি-ঠাসা বই কেমন অবস্থায় আছে, নষ্ট বা বিবর্ণ হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করতে কেটে যায়। পাঠকদের বই লেনদেনের নির্দেশ এখনও দেওয়া হয়নি।
এমনিতেই জেলার প্রতিটি লাইব্রেরিতে কর্মী সংখ্যা কম থাকার ফলে একজন গ্রন্থাগার কর্মীকে একাধিক লাইব্রেরিতে কাজ করতে হচ্ছে। এক জন গ্রন্থাগারিকের পক্ষে একাধিক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব সামাল দেওয়া মুশকিল।
এহেন পরিস্থিতিতে বইপ্রেমী পাঠক কবে লাইব্রেরিতে আসবেন তা নিশ্চিত নয় এখনও। অন্য দিকে, বইমেলার সময় বিভিন্ন লাইব্রেরিগুলি গ্রন্থাগার দফতর থেকে নতুন বই কেনার জন্য টাকা পেয়ে থাকেন। জেলা লাইব্রেরির ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা, টাউন লাইব্রেরির ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা এবং গ্রামীণ লাইব্রেরির ক্ষেত্রে ৭ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। করোনা আবহে লাইব্রেরি বন্ধ থাকলেও বই কেনার টাকা পাবে।
জেলার বিভিন্ন গ্রন্থাগারিকরা জানান, লাইব্রেরি থেকে বই লেনদেন শুরু করার জন্য প্রতিদিনই অনেক পাঠক গ্রন্থাগারিকদের ফোন করছেন। কিন্তু, নির্দেশ না থাকার ফলে বই দিতে পারছেন না। রামপুরহাট শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শিশির মুখোপাধ্যায় থেকে নারায়ণপুর গ্রামের তিনকড়ি মণ্ডল, নারায়ণ পালদের আশঙ্কা, লাইব্রেরি থেকে বই লেনদেন বন্ধ থাকার ফলে পাঠক আরও কমবে।
আজ, বুধবার থেকে ৩৯ তম বীরভূম জেলা বইমেলা রামপুরহাটে শুরু হচ্ছে। তার আগে মঙ্গলবার সকালে বইমেলা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। রামপুরহাট মহকুমাশাসক প্রশাসনিক ভবনে এই সাংবাদিক সম্মেলনে রামপুরহাট মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক সহ মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।