ছবি: সংগৃহীত।
নির্ঘণ্ট অনুযায়ী এ বছরও চতুর্দশী তিথিতে প্রাচীন প্রথা মেনে ভোরবেলায় ‘মা তারা’কে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বিরাম মঞ্চে নিয়ে আসা হবে। মঙ্গলবার তারাপীঠ মন্দির কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির চত্বরে নোটিস আকারে সিদ্ধান্তের কথা টাঙিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, করোনা আবহের মধ্যে মন্দির কমিটি দর্শনার্থীদের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তারা এখনও জানে না বলে পুলিশের দাবি। সে ক্ষেত্রে ওই দিন দর্শনার্থীদের ভিড় কী ভাবে মন্দির কমিটি সামাল দেবে, সেটাই প্রশ্ন।
তারাপীঠ তারামাতা মন্দিরের সেবায়েত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, দুর্গাপুজার পরে শুক্লা চতুর্দশী তিথিকে মায়ের আবির্ভাব তিথি বলে মানা হয়। কেউ কেউ এই দিনটিকে ‘তারা মা’ পুজো, বলে জানেন। কথিত আছে এই দিনে ‘মা তারা’র প্রথম পুজোর প্রচলন করেছিলেন জয়দত্ত সদাগর। তারাময়বাবু বলেন, ‘‘এই তিথিতে তারাপীঠ লাগোয়া আশপাশ এলাকার পারিবারিক দুর্গাপুজোর আয়োজকরা তারা পুজো করেন। ওই সব পুজোর কর্তারা এই তিথিতে মনস্কামনা পুরণের আশায় নিজেদের কৌলিকি পুজো মা তারার কাছে নিবেদন করেন। এর জন্য এই তিথি উপলক্ষ্যে মা তারাকে সবার জন্য মায়ের মূল মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে বিরাম মঞ্চে নিয়ে আসা হয়।’’ সেবায়েত সমিতির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই দিন মা তারাকে রাজবেশ পরানো হয়। দর্শনার্থীরা কেবলমাত্র এই দিনটিতেই মা-কে ছুঁয়ে পুজো দিতে পারেন।
প্রশ্ন উঠছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত। কারণ, দর্শনার্থীদের ভিড়ে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। মন্দির কমিটির অবশ্য দাবি, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় তারাপীঠে সেই অর্থে ভিড় হচ্ছে না। চতুর্দশীর দিন স্থানীয় মানুষের ভিড় হয়। বর্তমানে পুলিশ যেহেতু দুর্গাপুজো সামাল দিতে ব্যস্ত, তাই পুজোর পরে চতুর্দশীর তিথি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।