উদ্যোগ: এসেছে গাড়িও। নিজস্ব চিত্র
সাঁইথিয়ার আমোদপুর, রামপুরহাটের খরুণ, লাভপুরের পরে এ বার সিউড়ির কড়িধ্যা পঞ্চায়েতে সূচনা হল ‘সলিড অ্যান্ড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ ইউনিটের।
জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী ও জেলাপরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীর উপস্থিতিতে কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের বড়মহুলা গ্রামে দিন কয়েক আগেই সেটির উদ্বোধন হয়েছে। অবর্জনা মুক্ত ও দূষণহীন পরিবেশ রক্ষার জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বাড়িতে বাড়িতে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ-ই ইউনিট গড়ার মূল লক্ষ্য। সৌজন্যে আইএসজিপিপি (ইনটিউশনাল স্ট্রেংথনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রজেক্ট) প্রকল্প। এ বার থেকে পঞ্চায়েতের দেওয়া দুটি বালতিতে পচনশীল আবর্জনা জমিয়ে রাখবেন গৃহস্থ। আবর্জনা নিতে হাজির হবে পঞ্চায়েত নিযুক্ত লোকেরা।
কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রবীর ধর বলছেন, ‘‘সবকটি সংসদ এলাকা একেবারে নয়, প্রাথমিকভাবে হাজার তিনেক বাড়ি থেকে পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হবে।’’ তাঁর দাবি, ইউনিট চালু হলে পরে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েতের অন্য অংশের মানুষ পরিষেবা পাবেন। বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করা কিছুটা হলেও চেনা ছবি বড় শহর থেকে ছোট পুর এলাকার। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট নেই। সেখানে গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট গড়ার পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী।
প্রাথমিক ভাবে নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসাই লক্ষ্য। নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েত সেগুলি, যে পঞ্চায়েত এলাকার যে সব পরিবারের শৌচাগার ছিল না তা গড়ে দেওয়া। এরপর উন্মুক্তস্থানে শৌচকর্ম করার মানুষের দীর্ঘ দিনের অভ্যাস বদলে দেওয়া। পরের ধাপে, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রেখে সংগৃহীত পচনশীল অবর্জনা থেকে প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে ‘ভার্মি কম্পোস্ট’ বা কেঁচো সার তৈরি করা। অপচনশীল পদার্থ ‘রিসাইক্লিংয়ে’র জন্য বেছে বিক্রি করা ও বাকিটা অ-কৃষি নীচুজমি ভরাট করা ‘স্বচ্ছভারত মিশনে’র অন্তর্গত এই প্রকল্পের মধ্যে পড়ে। যদিও যে যে সূচক পূরণ করলে প্রকল্পের আওতায় আসা যায় সব নির্মলগ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। যেমন একটি গঞ্জ বা শহর ঘেঁষা পঞ্চায়েত এলাকা যেখানে সহজেই মিলবে বর্জ্য।
আইএসজিপিপি-র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সঞ্চালক দয়াশঙ্কর পাঠক বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই ৮টি পঞ্চায়েত মোট বরাদ্দ ২০ লক্ষের মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে। বাকি ৫ লক্ষ টাকাও পাবে।’’