মৃত্যু-তদন্তে হোমে কর্তা

আনন্দমঠ হোমের আবাসিক কিশোরী পায়েল শূরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করল সমাজ কল্যাণ দফতর। সোমবার হোমে সরেজমিন তদন্তে আসেন রাজ্য সমাজ কল্যাণ দফতরের উপ-অধিকর্তা নীহার সামন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৮
Share:

আনন্দমঠ হোমের আবাসিক কিশোরী পায়েল শূরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করল সমাজ কল্যাণ দফতর। সোমবার হোমে সরেজমিন তদন্তে আসেন রাজ্য সমাজ কল্যাণ দফতরের উপ-অধিকর্তা নীহার সামন্ত। জানা গিয়েছে, এ দিন তিনি নিজে হোম পরিদর্শন করেন। আবাসিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। তারা প্রতিদিন কী ধরনের খাবার খায় তাও আবাসিকদের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি মুখ খুলতে চাননি। উপ অধিকর্তা শুধু বলেন, ‘‘আমি তদন্তে এসেছি। সব দেখেছি। যা রিপোর্ট দেওয়ার দেওয়ার আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘সমাজ কল্যাণ দফতরের উপ-অধিকর্তা এ দিন হোমে তদন্তে এসেছিলেন। তিনি আমাদের কিছু জানাননি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি রিপোর্ট দেবেন।’’

Advertisement

ওই সরকারি হোম দাবি করেছিল, শ্বাসকষ্টের কারণে পায়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ঘুরে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। তবে পুরুলিয়ার একটি মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ান জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়ে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্তের দাবি জানান। তাঁর আশঙ্কা, ‘‘হোমের দেওয়া খাবারে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে পায়েল যক্ষা রোগের শিকার হয়েছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা দরকার।’’ ওই কিশোরীর দেহ বাঁকুড়া মেডিক্যালের মর্গ থেকেও হোম কর্তৃপক্ষ কেন নিয়ে এসে সৎকার করেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement