দুর্ঘটনায় জখম ছয় পুলিশ কর্মী

মাঝরাতে পুলিশের টহলদারি গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে পালাল একটি লরি। পরে অবশ্য ধরা পড়ে পড়শি থানার পুলিশের হাতে। বুধবার মাঝরাতের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ পুলিশের গাড়ির চালক। সিমলাপালের কুসুমডুংরি এলাকায় বুধবার রাতের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিমলাপাল শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০২:০০
Share:

পুলিশের দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি সিমলাপালে।

মাঝরাতে পুলিশের টহলদারি গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে পালাল একটি লরি। পরে অবশ্য ধরা পড়ে পড়শি থানার পুলিশের হাতে। বুধবার মাঝরাতের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন পাঁচ পুলিশকর্মী-সহ পুলিশের গাড়ির চালক। সিমলাপালের কুসুমডুংরি এলাকায় বুধবার রাতের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমলাপাল থানা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাস্তার কুসুমডুংরি এলাকায় রাত প্রায় ১২টা নাগাদ টহল দিচ্ছিল পুলিশের গাড়িটি। গাড়িতে ছিলেন সিমলাপাল থানার সাব ইনস্পেক্টর অমিতাভ পান্ডা-সহ চার কনস্টেবল সমীরণ ঘোষ, সুনীল টুডু, আনন্দ ষন্নিগ্রহী ও এম ডি ওয়াসিম। পুলিশের দাবি, গাড়িটি রাস্তায় টহল দিচ্ছিল। সেই সময় সিমলাপালমুখী একটি লরি তীব্র বেগে এসে পুলিশের টহলদারি গাড়িটিকে মুখোমুখী ধাক্কা মারে। ঘটনায় পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও জখম হন পুলিশের গাড়ির চালক সোমনাথ সরকারও। ধাক্কা মারার পরে লরিটি পালিয়ে যায়। পথে বারিকুল থানার পুলিশ চালক-সহ ওই লরিটি আটক করেছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সিমলাপাল থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কনস্টেবল সুনীল টুডুর চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বৃহস্পতিবার সকালেই ব্লকস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার রাতের ঘটনাটিকে একটি নিছক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, “পুলিশের টহলদারি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা হয় একটি লরির। রাইপুর ব্লকে লরিটি ধরা পড়েছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement