ভাঙা পড়ে এই শৌচালয়টি। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্লক সদরে যাতায়াত করা মানুষজনের জন্য তৈরি হয়েছিল শৌচালয়। তবে তৈরির পরে থেকে তা তালাবন্ধ ছিল। এ বারে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য সেই শৌচালয় ভাঙা পড়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সরকারি অর্থের এ ভাবে অপচয় কেন, তরজা বেধেছে শাসক ও বিরোধীর মধ্যে।
স্থানীয়েরা জানান, বরাবাজার বাইপাসে বিবেকানন্দ মোড়ের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক শৌচালয় তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তৈরির পরে থেকে তা তালাবন্ধই ছিল। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছিল। পাশাপাশি, খনন করা নলকূপের গভীরতা কম থাকায় ব্যবহারের জল পাওয়া যায়নি। সৌরচালিত পাম্প বসানো হলেও কয়েক দিন পরে অকেজো হয়ে যায়। ফলে বছর পাঁচেক ধরে তালাবন্ধই ছিল শৌচালয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল মাহাতো বলেন, “প্রায় দিন ওই মোড় থেকে বাস ধরতে হয়। তৈরির পরে থেকে শৌচালয় তালাবন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। এক দিনও ব্যবহার হল না। আর এখন ভেঙেই দেওয়া হল। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শৌচালয় খুব প্রয়োজন।”
বিজেপির বরাবাজার ২ মণ্ডলের সভাপতি নিশাপতি মাহাতো জানান, তৈরির পরেও কেন শৌচালয় বন্ধ রয়েছে, ব্লক প্রশাসনের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। এখন সেই শৌচাগারই ভাঙা পড়ল। এই ভাবে কোনও পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করা হচ্ছে। সরকারি টাকার অপব্যবহার করা হচ্ছে। শাসক দলের নেতারাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
বরাবাজার ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মিশ্র বলেন, “রাস্তা সম্প্রসারের কাজ চলছে বলে শৌচাগারটি ভাঙা হয়েছে। মানুষের সুবিধায় রাস্তা নির্মাণের পরে ওখানে শৌচাগার বানানো হবে।”
পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতোও জানান, বাইপাসে একটি শৌচাগার তালাবন্ধ ছিল। কেন তালাবন্ধ ছিল, জানা নেই। ওখানে একটি শৌচাগার বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শৌচালয় তৈরির পরে ভেঙে ফের তৈরি করতে অর্থের অপচয় কেন, সেই উত্তর মেলেনি।