দাদাকে খুনে যাবজ্জীবন সাজা

সরকারি কৌঁসুলি জানাচ্ছেন, গত বছর আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ সকাল ন’টা নাগাদ নিঙ্গাগ্রামে নিজের বাড়িতেই খুন হন প্রকাশ চক্রবর্তী। শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে তদন্তে জেনেছিল পুলিশ। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নিহতের বাবা মন্টু চক্রবর্তী তাঁর বড় ছেলেকে খুনের জন্য ছোট ছেলে প্রভাতকেই দায়ি করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

দুবরাজপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

দাদাকে খুনের অপরাধে এক যুবকের যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত। মামলার সরকার পক্ষের কৌঁসুলি অম্লান চক্রবর্তী জানান, বুধবার দুবরাজপুরের দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতের বিচারক মোল্লা আসগর আলি এই সাজা শোনান। সাজাপ্রাপ্তের নাম প্রভাত চক্রবর্তী। বাড়ি লোকপুরের নিঙ্গা গ্রামে। অম্লানবাবু জানান, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি জানাচ্ছেন, গত বছর আগস্ট মাসের ২৬ তারিখ সকাল ন’টা নাগাদ নিঙ্গাগ্রামে নিজের বাড়িতেই খুন হন প্রকাশ চক্রবর্তী। শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে তদন্তে জেনেছিল পুলিশ। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নিহতের বাবা মন্টু চক্রবর্তী তাঁর বড় ছেলেকে খুনের জন্য ছোট ছেলে প্রভাতকেই দায়ি করেন। অভিযোগ বলা হয়েছিল, বড় ছেলে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভাই প্রভাতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত। এই নিয়ে অশান্তি ছিল।

পড়শি ও পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় ঘটনার পর থেকেই প্রভাত পলাতক থাকায়। প্রায় এক মাস বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকার পরে দুবরাজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রভাত। এরপর পুলিশ মূল অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করে। পুলিশ চার্জসিটে জানায়, ঘটনার পুননির্মাণের সময় দাদাকে খুনের কথা স্বীকার করে প্রভাত। এত দিন জেল হেফাজতেই ছিলেন অভিযুক্ত। অম্লানবাবু জানিয়েছেন, মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ থেকে মঙ্গলবারই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement