বিজেপির প্রার্থী হাইতুন্নেশা বিবি

এত দিন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ছিল, কিন্তু নিজে কখনও সক্রিয় রাজনীতি করেননি। গত শুক্রবার সেই সক্রিয় রাজনীতিতে পা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সরাসরি ভোট প্রচারে নেমেছিলেন। শনিবার মুরারই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করল সাত্তোরের সেই নির্যাতিতা হাইতুন্নেশা বিবির নাম। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি যেখানে মহিলারা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই আমি গিয়েছি।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৭
Share:

এত দিন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ছিল, কিন্তু নিজে কখনও সক্রিয় রাজনীতি করেননি। গত শুক্রবার সেই সক্রিয় রাজনীতিতে পা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সরাসরি ভোট প্রচারে নেমেছিলেন। শনিবার মুরারই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করল সাত্তোরের সেই নির্যাতিতা হাইতুন্নেশা বিবির নাম। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি যেখানে মহিলারা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই আমি গিয়েছি। এবং সেই দিন থেকেই আমি সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছি। সেই সংগ্রামকে আরও মজবুত করার জন্য দল সুযোগ দিয়েছে।’’ দল নাম ঘোষণা করার আগেই অবশ্য বিজেপির এই প্রার্থী প্রচার শুরু করেন মুরারইয়ে। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বোমাবাজিতে অভিযুক্ত পাড়ুই থানার সাত্তোরের এক বিজেপি সমর্থককে খুঁজতে বর্ধমানের বুদবুদ থানার কলমডাঙা গ্রামে তাঁর কাকিমার বাপের বাড়িতে হানা দেয় বীরভূম জেলা পুলিশের বিশেষ দল। ওই কর্মীকে না পেয়ে কাকিমাকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ ও তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী অকথ্য অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। পরে ওই বধূকে ইলামাবাজার থানার সামনে ফেলে দিয়ে যায় পুলিশ বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় রাজ্য সরকার সিআইডি-কে তদন্তভার দেয়। সিআইডি-র চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) ওসি কার্তিকমোহন ঘোষ-সহ একাধিক পুলিশকর্মীর নাম রয়েছে। সিউড়ি সিজেএম আদালতে মামলাও চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় তদন্তও চলছে। ওই ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন সাত্তোরের নির্যাতিতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement