—প্রতীকী চিত্র।
নদীর চরে পুঁতে রাখা হয়েছিল তরুণীকে। বুধবার সকালে সেই দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার সিন্ধ্রী এলাকায়। এখনও মৃতার পরিচয় মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে সিন্ধ্রী গ্রাম লাগোয়া কুমারী নদীর তসরবাকি ঘাটে রক্তের দাগ দেখেন কয়েক জন। তাঁদের সন্দেহ হয়। কিছু ক্ষণ পর ঘাট থেকে কিছুটা দূরে নদীর ধারে বালি সরিয়ে একটি দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ তরুণীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, মৃতার বয়স ২০ থেকে ২২ বছর। তার পরনে ছিল জিন্স এবং শার্ট। দেহ যখন পাওয়া যায়, তখন গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তরুণীকে অন্যত্র খুন করে বালিচাপা দিয়ে যায় অভিযুক্তেরা।
পুলিশ জানাচ্ছে, খুনের আগে তরুণীর উপরে কোনও রকম শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল কি না, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে। বরাবাজারের ফতেপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সকালে কুমারী নদীর পারে বালির উপরে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বরাবাজার থানার পুলিশ। রক্তের দাগ অনুসরণ করে নদীর পার বরাবর কিছুটা এগিয়ে যেতেই এক জায়গায় বালি চাপা দেওয়া অবস্থায় কিছু রয়েছে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। বালি সরাতেই মেলে অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ। পুলিশ মনে করছে, তরুণীকে অন্যত্র খুন করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে নদীর ধারে এসে দেহটি বালি চাপা দিয়ে পালিয়েছে অভিযুক্তেরা। রহস্যের কিনারা করার জন্য প্রথমে তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।