মন্ত্রীর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ বিজেপির। —নিজস্ব চিত্র।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে যথাযথ তদন্ত এবং ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু)-সহ অভিযুক্তদের ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দাবি করে বাঁকুড়ায় মিছিল করল বিজেপি। আর পুলিশ সেই মিছিল আটকে দিতেই শুরু হল শোরগোল। পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডার পর জ্যোতিপ্রিয়ের কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গেরুয়া শিবিরের নেতা এবং কর্মীরা।
শুক্রবার বাঁকুড়ার হিন্দু হাই স্কুল মোড় থেকে শুরু হয় বিজেপির মিছিল। কিন্তু মাচানতলার কাছে পুলিশ ওই মিছিল আটকে দেয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় অশান্তি। বস্তুত, রেশন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলায় জেলায় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বাঁকুড়ার হিন্দু হাই স্কুল মোড় থেকে স্কুলডাঙায় জেলার খাদ্য নিয়ামকের দফতর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল এবং খাদ্য দফতরে বিক্ষোভের কর্মসূচী নেন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।
দুপুরে বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুল মোড় থেকে বিজেপির মিছিল মাচানতলা মোড়ে পৌঁছনো মাত্র পুলিশ মিছিল আটকে দেয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের । তখনই জ্যোতিপ্রিয়ের কুশপুতুল পোড়ান তাঁরা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল এই কাজ করতে পারে, কিন্তু রাজ্যবাসী হিসাবে এই ঘটনাকে আমরা কোনও ভাবেই মেনে নেব না। শুধু বাঁকুড়া জেলাতেই ৪ লক্ষ ৫ হাজার ২৭০টি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল বলে আমাদের কাছে খবর।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সারা রাজ্যে সংখ্যাটা অনেক গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবে দুর্নীতির বহরও যথেষ্ট। তাই অবিলম্বে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো চোরকে মন্ত্রিসভা থেকে না সরানো হলে আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’’
উল্লেখ্য, বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা অধুনা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রীর অবশ্য দাবি, তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি জানান, এই কাজ করেছেন বিজেপি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।