মাস খানেক আগেই হাসপাতালের রান্নাঘরে ঢুকে আঁতকে উঠেছিলেন স্বাস্থ্য ভবন থেকে পরিদর্শনে আসা আধিকারিকেরা। অন্ধকার সেই রান্নাঘর দেখে রীতিমতো বিরক্তই হন তাঁরা।
বেহাল দশা কাটাতে সেই রান্নাঘর খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ শুরু করেছে রামপুরহাট জেলা হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই পরিদর্শনের আগেই স্বাস্থ্য ভবন নতুন রান্নাঘর তৈরির জন্য প্রায় ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকাতেই শুরু হয়েছে রান্নাঘর সংস্কারের কাজ।
বছর পাঁচেক আগেও মূল ভবন থেকে কিছুটা দূরে হাসপাতাল চত্বরের একপ্রান্তে চালু ছিল ওই রান্নাঘর। পরবর্তী কালে সেটিকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নির্মাণে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থাকে অস্থায়ী ভাবে অফিসঘর হিসেবে দেওয়া হয়। হাসপাতালের মূল ভবনের নীচের তলায় স্থানান্তরিত হয় রান্নাঘর। প্রায় ৩০ বছরের পুরনো ভবনে রান্নাঘর স্থানান্তরিত হলেও সেখানে উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না। দেওয়াল কেটে আলো বাতাস ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়। ফলে ওই রান্নাঘর মোটেও স্বাস্থ্যকর ছিল না। বর্তমানে সেই রান্নাঘরই এখন নতুন ভাবে সেজে উঠছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বরাদ্দ হওয়া টাকায় রান্নাঘরের ভিতর মেঝেতে কোটা স্টোন বসানো হচ্ছে। দেওয়ালে বসছে বিশেষ টাইলস। বসছে নতুন বেসিন। নতুন করে স্টোর রুমও তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি রান্নাঘর থেকে যাতে আগুন না ছড়ায়, তার জন্য বিশেষ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। অন্য দিকে, মাসখানেক আগেও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্ষেত্রে ট্রলিতে খাবার পরিবেশন করার সময় তা শালপাতা বা বড় অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র দিয়ে ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু ছিল। পরিবর্তন করা হয়েছে ওই ব্যবস্থারও। বর্তমানে খাবার সরবরাহের জন্য ঢাকা ট্রলি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাসখানেক আগেই এমন ১০টি ট্রলি পেয়েছে হাসপাতাল। বর্তমানে ৬টি ট্রলি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকিগুলি পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য স্টোর রুমে রেখে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল বলছেন, ‘‘রান্নাঘরের ভিতরে এই সব কাজের পরে ভবিষ্যতে বাইরের অংশও সংস্কার করা হবে। তার জন্য স্বাস্থ্য ভবন ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’ রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির ক্ষেত্রে হাসপাতালে উন্নতমানের ও আধুনিক রান্নাঘরেরও প্রয়োজন রয়েছে। খাবার সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছিল।