কলেজের গেটে। নিজস্ব চিত্র
সিমেস্টারের ফি অর্ধেক করার দাবিতে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের রামানন্দ কলেজের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করলেন ছাত্র সংসদের সদস্য ও পড়ুয়াদের একাংশ। কলেজ বন্ধ থাকলেও বিদ্যুতের মাসুল, গবেষণাগার ব্যবহারের ফি প্রভৃতি ধার্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। কলেজের অধ্যক্ষা স্বপ্না ঘোড়ই জানান, পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
এ দিন বিক্ষোভে ছিলেন কলেজের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের শতাধিক ছাত্রছাত্রী। তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের পারিবারিক রোজগার কমে গিয়েছে। কারও কারও অভিভাবকেরা কাজ হারিয়েছেন। ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সইফুল মল্লিক বলেন, ‘‘তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারে ভর্তির ফি ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে জমা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য অধিকাংশ পড়ুয়ারই এখন নেই।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির ফি সব থেকে বেশি বিজ্ঞান বিভাগের সাম্মানিক কোর্সগুলিতে। ৩,০৯৫ টাকা। ভূগোল এবং শারীরবিদ্যা ছাড়া, অন্য বিষয় নিয়ে যাঁরা বিএ প্রোগ্রাম কোর্স পড়ছেন, তাঁদের ফি সব থেকে কম। ২,০০৫ টাকা। পডুয়াদের একাংশের দাবি, অন্য কলেজের থেকে ফি অনেকটাই বেশি ধার্য করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর ধরে রামানন্দ কলেজে কোনও ফি-বৃদ্ধি হয়নি।
করোনার জেরে এখন ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা বন্ধ হয়েছে। অনলাইনেই চলছে পড়াশোনা। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মাসুল, গবেষণাগারের ফি, ডেভেলপমেন্ট ফি প্রভৃতি ধার্য করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের একাংশ। অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘কলেজ পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। ফি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁদের নির্দেশ মতোই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’’ অধ্যক্ষা দাবি করেছেন, এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আপাতত কেউ কলেজে যেতে পারছেন না। ‘স্যানিটাইজ়’ করার পরেই আবার যাতায়াত শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘এক শিক্ষককে পাঠিয়ে পডুয়াদের দাবিপত্র নিয়েছি। তবে বিক্ষোভের আগে আমাকে জানালে আলোচনায় বসতে পারতাম।’’ ফি জমা করার শেষ দিন এগিয়ে আসায় এখন চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্যার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।