সুরাহা: পর্যটকদের জন্য এই অফিস চালু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
পুরসভাই পুরো বন্দোবস্তটা করে দেবে।
পুরুলিয়ায় বেড়াতে এসে ঝক্কি কমতে চলেছে পর্যটকদের। প্যাকেজে মিলবে পর্যটন। সম্প্রতি এ জন্য খোলা হয়েছে পৃথক একটি পর্যটন শাখা। পুরসভা চত্বরে চালু হয়েছে তার অফিস।
ওই শাখার কর্মী শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, গোটা জেলাকে ভাগ করা হয়েছে চারটি সার্কিটে। কোনওটিতে কুমারী কানন, অযোধ্যাপাহাড়, দেউলঘাটা। কোনওটিতে ফুটিয়ারি, গড়পঞ্চকোট, পাঞ্চেত, বড়ন্তি, তেলকূপি।
প্রতি সার্কিটের জন্য থাকছে আলাদা আলাদা প্যাকেজ। পর্যটকেরা তার মধ্যে থেকে ইচ্ছেমতো বেছে নিতে পারেন। রাতে থাকা, ঘোরার জন্য গাড়িঘোড়া, পথের চা-জলখাবার— কোনও কিছু নিয়েই তাঁদের মাথা ঘামাতে হবে না।
শুভেন্দুবাবুর জানান, থাকার ব্যবস্থা শহরের হোটেল বা লজগুলিতেই করা হবে। কেউ যদি কোনও অতিথি নিবাসে থাকতে চান, আর সেখানে জায়গা থাকে, তাহলে পুরসভাই বুকিং করে দেবে। অযোধ্যাপাহাড়ে ইতিমধ্যেই কয়েক জনের বুকিং করে দেওয়া হয়েছে।
আবার কেউ নিজেই হোটেল বুক করে শুধু ঘোরার জন্য গাড়ির খোঁজে পুরসভায় আসতে পারেন। পুরসভা সে ক্ষেত্রে দেখবে, ওই রাস্তায় আর কাদের কাদের যাওয়ার কথা। রাজি থাকলে মিলিয়ে মিশিয়ে গাড়ির বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। মুশকিল আসান হয়ে যাবে অনেকটাই কম খরচে। চাইলে গাড়ির সঙ্গে খাবারের দায়িত্বটাও পুরসভাকে দিতে পারেন।
পুরুলিয়ার পুরপ্রধান সামিমদাদ খান জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্রে সাহেববাঁধ ঘুরে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই শিকারা চালু হয়েছে। বাঁধ চক্কর দেওয়াবে এক্কাগাড়ি। পর্যটক টানার সেই আয়োজনে নতুন সংযোজন এই প্যাকেজ ট্যুর। আপাতত পর্যটকেরা ফোনে বুকিং করতে পারবেন। পরিষেবা সম্পর্কে জানার পরে টাকা জমা দিতে হবে পুরসভার অ্যাকাউন্টে। পরে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বুকিং-এর সুযোগ করে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়াকে রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে হিসেবে গড়তে চাইছেন। গত কয়েক বছরে পুরুলিয়ায় পর্যটক বেড়েছে। তাঁদের অনেকেই বুঝতে পারেন না কোথায় গেলে কী দেখা যাবে। সেই সব ভেবেই এই বন্দোবস্ত।’’
তিনি জানান, ইতিমধ্যেই শহরের হোটেল ও লজগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পর্যটকদের কী ধরনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধা আর পুরসভার বাড়তি আয়— এক প্যাকেজে দু’টিই হবে বলে আশাবাদী পুরপ্রধান।