Purulia CPIM

দায়িত্বে নতুন প্রজন্ম, বদলের আশা দেখছে সিপিএম

দলের ছাত্র সংগঠন, এসএফআইয়ের সদস্য বৃদ্ধিতেও আশা দেখছেন দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের সদস্যেরা। আগামী জানুয়ারিতে জেলা সম্মেলনের আগে যা নিয়ে আশার আলো দেখছেন পুরুলিয়া জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।

Advertisement

আগামী ২৫-২৬ জানুয়ারি সিপিএমের জেলা সম্মেলন। তার আগে দলের ৪২টি এরিয়া কমিটির অধীনে থাকা সমস্ত শাখার সম্মেলন শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা সিপিএম সূত্রে খবর, রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে এ বারই প্রথম এরিয়া কমিটির সম্মেলনের আগে দলের ৮৮৫টি শাখা কমিটির মধ্যে আঠশোরও বেশি সম্মেলন হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এরিয়া কমিটির সম্মেলনও। রবিবার পর্যন্ত ৩৭টি এরিয়া কমিটির সম্মেলন হয়েছে।

দলীয় সূত্রে খবর, পাড়া (৩), জয়পুর (পশ্চিম), বলরামপুর, মানবাজার (পশ্চিম), ঝালদা, পুরুলিয়া শহর (দক্ষিণ), আড়শা (পূর্ব) এরিয়া কমিটির প্রতিটিতে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বকে সাংগঠনিক দায়িত্বে আনা হয়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় জানান, বর্তমানে জেলায় দলের সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা ন’হাজারের কিছু বেশি। বয়সজনিত কারণে এ বারে পার্টি সদস্যদের একাংশ পুনর্নবীকরণ না করালেও সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা কমেনি। তাঁর কথায়, “বয়সের কারণে অনেকে আর সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারছেন না। তবে তাঁরা দলের সঙ্গে রয়েছেন। এ দিকে, এক হাজারেরও বেশি জন নতুন সদস্য হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি।”

Advertisement

দলের ছাত্র সংগঠন, এসএফআইয়ের সদস্য বৃদ্ধিতেও আশা দেখছেন দলীয় নেতৃত্ব। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুব্রত মাহাতো জানান, রাজনৈতিক পালাবদলের পরে দলের ছাত্র সংগঠনে ব্যাপক ধস নামে। টানা বেশ কয়েক বছর সম্মেলনই করা যায়নি। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পরে থেকে ফের সংগঠন ময়দানে নামে। ২০১৬-১৭ পর্বে সংগঠনের সদস্যসংখ্যা ছিল ১১ হাজারের কিছু বেশি। তা বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার ছুঁয়েছে জানিয়ে সুব্রত বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংগঠনের অনেকে দলের হয়ে প্রার্থীও হয়েছিলেন।” সামান্য হলেও প্রচারসংখ্যা বেড়েছে দলীয় মুখপত্র, ‘গণশক্তি’-র।

দল সূত্রের খবর, গত ভোটে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৫ শতাংশের বেশি আসনে নতুন প্রজন্মের সদস্যদের প্রার্থী করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে ছাত্র ও যুব সংগঠনের অনেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তা ছাড়া, বান্দোয়ানের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে সোনামণি মুর্মু এ বার ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে দলের প্রার্থী হন। ভোটের সময়ে বিভিন্ন প্রচারসভা থেকে অধিকারের দাবিতে লড়াই, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান থেকে জঙ্গলমহলের জীবন-জীবিকার কথা তুলে ধরে তিনি ইতিমধ্যে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।

যদিও নতুন প্রজন্মের সদস্যেরা ভোটে তেমন সাফল্য পাননি। প্রদীপ বলছেন, “পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলকে আমরা মাপকাঠি বলে ধরছি না। কী ভাবে কারচুপি করা হয়েছে, সকলেই জানেন। তরুণ প্রজন্মের যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাঁরাও তা জানেন। সব চেয়ে বড় কথা, শত প্রলোভন উপেক্ষা করে মতাদর্শগত ভাবে তাঁদের সিংহভাগ এখনও ময়দানে রয়েছেন। দলের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিতে এগিয়ে আসছেন।”

তাঁর সংযোজন, বামপন্থীরা না থাকলে মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াই যে ব্যাহত হবে, সেই বিষয়টি নতুন প্রজন্ম উপলব্ধি করছেন। সেই উপলব্ধিই মানুষের কাছে
নিয়ে যেতে হবে। সেই দায়িত্বই নিচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement